খুলনার সড়কে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান, যানজটে দুর্ভোগ
জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলের দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন খুলনার সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ ২০ মার্চ দুপুরে মিডটার্ম পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা লংমার্চ করে নগরীর শিববাড়িতে পৌঁছান এবং সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। ফলে শিববাড়ি ও নগরীর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো:
১. জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে অবিলম্বে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০% প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। ২. জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলকভাবে “ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং” করতে হবে। ৩. ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সকল পদে শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে। ৪. কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য সকল বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। ৫. কারিগরি শিক্ষার প্রসারের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদন করার সুযোগ প্রদান করতে হবে। ৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে ন্যূনতম বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা মূলত অষ্টম শ্রেণি বা এসএসসি পাস এবং তাদের কারিগরি শিক্ষা নেই। তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাব সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাদের শিক্ষক হিসেবে প্রমোশন দেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান নষ্ট হবে।
শিক্ষার্থীদের মতে, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদ শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ হওয়া উচিত। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের এই পদে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কারিগরি সেক্টর ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।