দুর্বৃত্তের হামলায় চিকিৎসারত ইউপি সদস্য ফারুকের মৃত্যু
দুর্বৃত্তের হামলায় আহত খুলনার ফুলতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সদস্য ফারুক মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বেজেরডাঙা মধ্যপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। নিহত ফারুক মোল্লা উপজেলার পয়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা জনৈক হাসেম মোল্লার ছেলে। রাতে তার মরদেহ বাড়িতে নিলে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ফারুক মোল্লার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলতলা উপজেলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোঃ শফিকুল ইসলাম। স্থানীয়রা জানান, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুপায়ে এবং মাথায় আঘাত করে। তাদের অস্ত্রের আঘাতে তার পায়ের রগ কেটে যায় এবং মাথার পেছনের আঘাতটি গুরুতর ছিল। ওই আঘাতের কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য রাতে তাকে আইসিইউ সাপোর্টেড অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। কিন্তু গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলায় পৌঁছালে তার অবস্থা আরও খারাপ হয়। তখন তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতে তার মরদেহ ফুলতলা উপজেলার পয়গ্রামে নেওয়া হলে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফারুক মোল্লা চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলেন এবং তিনি জেলা পুলিশের ৫ নম্বর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ফুলতলা থানা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি গ্যাংয়ের প্রধান বলেও জানা গেছে।
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ইউপি সদস্য ফারুক মোল্লাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করলে পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার অবস্থা অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে রাতে তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি।