রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল কলোনি এলাকায় একটি বড় ধরনের টিসিবি পণ্য পাচারের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের তৎপরতায় ডিলারের এক সহযোগীকে আটক করা হয়, যার বিরুদ্ধে টিসিবি পণ্যের কিছু অংশ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিলার নিজেই এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, ফলে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

পাচারকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ২ লিটারের ৫ বোতল তেল এবং ৫ কেজি চিনি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা পাচারের সময় বাধা দিয়ে পণ্যগুলো উদ্ধার করেন এবং পরে টিসিবির প্রতিনিধি শফিউল ইসলামের উপস্থিতিতে সেগুলো পুনরায় ট্রাকে তুলে খোলা বাজারে বিতরণ করা হয়। এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে চন্দ্রিমা থানা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম জনি পরিস্থিতি শান্ত করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টিসিবির পণ্য বিতরণে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। ডিলার তার নিজ এলাকার লোকজন কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে পণ্য বিতরণ করছেন, যার ফলে সাধারণ মানুষ দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিসিবি পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত টিসিবির প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা হাতেনাতে তেল ও চিনি সহ এক ব্যক্তিকে আটক করে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তিনি জানান, শিরোইল কলোনি সার গুদাম চত্বরে ৪০০ জনের জন্য টিসিবি পণ্য বরাদ্দ ছিল, যার মধ্যে ছিল দুই কেজি ডাল, এক কেজি চিনি, দুই কেজি ছোলা, দুই লিটার তেল ও ৫০০ গ্রাম খেজুর। প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৮৮ টাকা।

এ বিষয়ে রিয়াদ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. তোজাম্মেল হোসেন সরকার (তাজেল) জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় সরাসরি পয়েন্টে যাননি এবং পয়েন্ট পরিচালনার দায়িত্ব লিপি নামক এক নারী কর্মচারীর ওপর ন্যস্ত করেন। তবে, তিনি এ ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী নন বলে দাবি করেছেন।

রাজশাহী ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান জানান, তিনি এই বিষয়ে একটি ভিডিও এবং স্থানীয়দের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, ডিলারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।