বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও তুহিনের বহিষ্কারের দাবিতে রামপালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদ এবং হামলা-ভাঙচুরের নেতৃত্বদানকারী তুহিনের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টায় রামপাল সদরে এ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন রামপাল উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থক।
রামপাল সদরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে থানার সম্মুখে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রামপাল উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী হালিম, শেখ ফিরোজ কবির, আলতাফ হোসেন বাবু, মুজিবর রহমান বাবুল, আব্বাস আলী, হাওলাদার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মল্লিক জিয়াউল হক জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান পিয়াল, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মোল্লা তরিকুল ইসলাম শোভন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সাবেক খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও এমপি হাবিবুন নাহারের দোসরদের সহযোগিতায় এলাকায় চিংড়ি ঘের দখল, হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়ে উপজেলা জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন রামপাল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন। বক্তারা অভিযোগ করেন, তিনি এ উপজেলায় সন্ত্রাসের গডফাদারে পরিণত হয়েছেন। এর আগে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে লিয়াজো করে তিনি দলের ক্ষতি করেছেন এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নিজ স্বার্থে দলের নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। তাই তারা তার দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পরিকল্পিত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে। সমাবেশে কয়েক সহস্র বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এই অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি বিএনপিকে ভালোবেসে দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে রয়েছি। কিছু আওয়ামী লীগ নেতার প্ররোচনায় আমার বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য দিয়ে আমার জনপ্রিয়তাকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চলছে।” তিনি রাজনীতিতে সকলের সহাবস্থান কামনা করেন।