জুলাই – শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আহত যোদ্ধাদের মধ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান
জুলাই – শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আহত যোদ্ধাদের মধ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ৯ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “আপনারা যে ত্যাগ, সাহস ও চিন্তার মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছেন, তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে প্রেরণা দেখেছিলাম, ২০২৪ সালেও আপনারা তা নতুনভাবে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে যখনই অন্যায়, অবিচার ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন হয়েছে, তখন জনগণ তা মেনে নেয়নি। ২৪-এর অভ্যুত্থানে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিলেও সাধারণ মানুষ তাদের পাশে থেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং ফ্যাসিবাদীরা পালিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আহত যোদ্ধাদের জন্য যে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আহতরা যতদিন সুস্থ না হন, সরকার তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান দায়িত্ব হলো ১৭ কোটি জনগণের আগে আহতদের পাশে থাকা।” সারাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শুধু কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিলেই হবে না, বরং ছাত্রদেরও এই সামাজিক আন্দোলনে অংশ নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আবু সাঈদ, মুগ্ধ, আনাসসহ সকল শহীদরা সমগ্র বাংলাদেশের সম্পদ। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই শহীদদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।” পরিশেষে তিনি শহীদদের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে অভিহিত করেন।
জুলাই – শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান মুগ্ধর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি আহত যোদ্ধাদের হাতে নগদ অনুদান তুলে দেন। এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।