পিন্টু হত্যার দেড় মাসেও আটক হয়নি মাদক ব্যবসায়ীরা, ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামী আ.লীগ নেতারা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স আব্দুল হাকিম পিন্টুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। হত্যার দেড় মাস পার হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে হত্যা মামলার আসামী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আসামীদের আটক করতে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না পুলিশের। হত্যা মামলার আসামীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা, একাধিক হত্যা মামলার আসামী হলেও তাদেরকে গ্রেফতারে নেয় কোনো তৎপরতা।
নিহত পিন্টুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, মামলার প্রধান আসামী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং চারটি হত্যা মামলার আসামী আ.লীগ নেতা শহীদ রানা টিপুর মদদে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে চারটি মাদক মামলার আসামী ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজানসহ আ.লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আ.লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সাবেক সম্পাদক আশরাফ আলী এবং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের স্থানীয় কয়েকজন আ.লীগ নেতা ও মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশকে ম্যানেজ করায় প্রকাশ্যে তারা ঘুরে বেড়ালেও আটক হয়নি আসামীরা।
এদিকে, পিন্টু হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। তাদের দাবি, পিন্টু মাদক প্রতিরোধে কাজ করতো এবং মাদক পাচারের বিষয়ে প্রশাসনকে তথ্য দিয়েছিল। তারই প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে, মামলার তদন্তের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান জানান, পিন্টুর বাবা হুমায়নের দায়ের করা মামলায় ২০ জন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের আটক করার জন্য কাজ চলছে। তবে, মামলার তদন্ত কাজ চলমান এবং তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শহীদ রানা টিপু অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি, যার হাত অনেক লম্বা। তার সাথে সখ্যতা রয়েছে উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতাদের, তাই তাকে গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।