খুলনায় নতুন দলের নেতৃত্বে নতুনরা
“ইনকিলাব জিন্দাবাদ” শ্লোগান দিয়ে আত্মপ্রকাশ করা নতুন রাজনৈতিক দল, জাতীয় নাগরিক পার্টি নিয়ে খুলনায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। গেল শুক্রবার দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এর পর থেকে নগরীর অলিগলিতে দলের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। জুলাই-আগষ্টে অনুষ্ঠিত আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা বর্তমানে নতুন দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। জেলা ও নগর কমিটি গঠন করতে নতুন নেতৃত্বরা কাজ শুরু করেছেন।
এদের মধ্যে অনেকেই আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থাকলেও খুলনার রাজনীতিতে তারা নতুন মুখ। দলের নেতারা প্রথমবারের মতো স্থানীয় একটি অভিজ্ঞান হোটেলে ইফতার মাহফিল আয়োজনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসবেন। সৈরশাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ইতিমধ্যেই নগরবাসীর কাছে একটি পরিচিত ও প্রভাবশালী ইমেজ তৈরি হয়েছে। দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ৫০টি বাস নিয়ে স্থানীয় কর্মীরা যোগ দেন, যা দলের জন্য একটি আশার আলো বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চল থেকে ৫ জন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মেসবাহ কামাল মুন্না, যিনি দক্ষিণাঞ্চলে দলের সংগঠন গঠনের দায়িত্বে আছেন। অন্যান্য প্রতিনিধি গুলি হলেন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমতউল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক তানজীল মাহমুদ, যুগ্ম সদস্য সচিব ফরিদুল ইসলাম, এবং সংগঠক ওয়াহিদুজ্জামান।
দলের সূত্র মতে, জুলাই-আগষ্টের আন্দোলনের প্রধান সংগঠক আহম্মাদ হামীম রাহাতকে খুলনা জেলা ও নগর শাখার সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে নর্দান ইউনিভার্সিটি, খুলনার জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী আহমেদ ফরিদ পাঠান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার রমজান শেখ, তরুণ সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, দক্ষিন টুটপাড়া হাজী মুহাম্মদ নুরুজ্জামান ফকির, ইঞ্জিনিয়ার আশিকুর রহমান রাতুল, খানজাহানআলী থানা এলাকার জাহিদুর রহমান প্রিন্স, এবং আরও অনেক।
এছাড়া, বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, যিনি আরাফাত গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান, নয়া দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যদিও স্থানীয় সংগঠকরা এখনো তার প্রতি সাড়া দেয়নি।
বর্তমানে দলের কোন স্থানীয় অফিস নেই, তবে ময়লাপোতা থেকে শিববাড়ি এলাকার মধ্যে একটি ভবন খুঁজে দলের জেলা ও মহানগর শাখার কার্যালয় তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। দলের স্থানীয় নেতারা প্রতিদিন সাংগঠনিক বৈঠক করছেন এবং তরুণরা এ বৈঠকে অংশ নিচ্ছে।
দলটির সংগঠক আহম্মাদ হামীম রাহাত জানিয়েছেন, দল আত্মপ্রকাশের পর থেকে সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং আগামী ১৫-২০ রমজানের মধ্যে একটি অভিজাত হোটেলে ইফতার মাহফিল আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় নেতৃত্ব প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে আসবে। ইফতার মাহফিলে ২ হাজার অতিথি আমন্ত্রণ পাবেন।