জামালপুরে দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ বাস চলাচল, সাধারণ যাত্রীদের দূর্ভোগ
জামালপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের সময় শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত সোমবার বিকেলে জামালপুর জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা বাস মালিক সমিতি যৌথভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
২ মার্চ রোববার জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের জয়রামপুর এলাকায় জামালপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঢাকা থেকে জামালপুরগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাস ও নান্দিনাগামী একটি যাত্রীবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় অটোরিকশাচালক আবুল কাসেম নিহত হন। দুর্ঘটনার পর রাজিব পরিবহনের বাস সার্ভিস বন্ধ এবং জামালপুরের বাস সার্ভিস সংস্কারের ছয়দফা দাবিতে ৩ মার্চ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখা বাস টার্মিনালের সামনে সড়ক অবরোধ করে।
ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ চলাকালে বাস শ্রমিকদের সাথে ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় মনির নামে একজন শ্রমিক আহত হন। এ সময় শেরপুর-জামালপুর-টাঙ্গাইল রুটসহ জামালপুর জেলার সাত উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ধর্মঘটের ডাক দেয় এবং বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। তারা প্রশাসনের কাছে সকল বাস, চালক, শ্রমিক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আবিদ সৌরভ জানান, তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রা-নামার অনিয়ম, বাসের বেপরোয়া গতি এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রতিবাদে ছয়দফা দাবি জানিয়েছে, যার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো এবং বাসের চালক ও শ্রমিকদের খারাপ ব্যবহার বন্ধের দাবি রয়েছে। সাধারণ মানুষ রাজিব বাসের প্রতি ক্ষিপ্ত।
জামালপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।