ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে সুতাং নদী অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

এম এ ওয়াহেদ, লাখাই, হবিগঞ্জ::

ছবি: চেকপোস্ট

লাখাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুল্লা বাজার বাঁশ হাটের পশ্চিমে নিজের জমির সঙ্গে সুতাং নদীর অংশ মিশিয়ে অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, করাব ইউনিয়নের সিংহগ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে আলমগীর তার নিজস্ব জমির উত্তরে অবস্থিত সুতাং নদীর ভেতরে প্রবেশ করে বাঁশের আড় (ঘেরা) বেঁধে এবং দিনমজুর দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে দখলের চেষ্টা করছেন।

অভিযুক্ত আলমগীরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি সুতাং নদী দখল করিনি। আমি আমার জমিতে অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে ভিটা তৈরি করছি। তবে ভিটার মাটি আটকাতে গিয়ে সুতাং নদীর ভেতর থেকে কিছু মাটি এনে ভরাট করেছি। বর্ষাকালে নৌকার ঢেউয়ে যেন ক্ষতি না হয়, সে জন্য মাটির ঘেরা দিয়েছি।”

এ বিষয়ে বুল্লা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার আব্দুল কাইয়ুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে নদী দখলের এই প্রবণতা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

 

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে সুতাং নদী অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

লাখাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুল্লা বাজার বাঁশ হাটের পশ্চিমে নিজের জমির সঙ্গে সুতাং নদীর অংশ মিশিয়ে অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, করাব ইউনিয়নের সিংহগ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে আলমগীর তার নিজস্ব জমির উত্তরে অবস্থিত সুতাং নদীর ভেতরে প্রবেশ করে বাঁশের আড় (ঘেরা) বেঁধে এবং দিনমজুর দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে দখলের চেষ্টা করছেন।

অভিযুক্ত আলমগীরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি সুতাং নদী দখল করিনি। আমি আমার জমিতে অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে ভিটা তৈরি করছি। তবে ভিটার মাটি আটকাতে গিয়ে সুতাং নদীর ভেতর থেকে কিছু মাটি এনে ভরাট করেছি। বর্ষাকালে নৌকার ঢেউয়ে যেন ক্ষতি না হয়, সে জন্য মাটির ঘেরা দিয়েছি।”

এ বিষয়ে বুল্লা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার আব্দুল কাইয়ুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে নদী দখলের এই প্রবণতা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।