ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শায়েস্তাগঞ্জে বন বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ

এম এ ওয়াহেদ লাখাই::

শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ভবন নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বৃষ্টির পানি ও কাঁদার মাঝেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে পিপি ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসের ভবনের নিচ ঢালাই কাজ করছেন কয়েজন শ্রমিক। কাদা ও পানির উপরেই দিচ্ছেন পিপি ঢালাই। বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত বিভাগের নেই কোন প্রতিনিধি।
এসময় শ্রমিকরা জানান, ঠিকাদারের নির্দেশেই এই পরিস্থিতিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

এই বিষয়ে ঠিকাদার জাশেদুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ কাজের ঠিকাদার আমি নই তবে যে ঠিকাদার কাজ করছে আমি অফিসে গিয়ে আপনাকে বলব। পরবর্তীতে তার মোবাইল এ ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন নাই।

একই বিষয়ে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলীর মোঃ হেলিম ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকালকে আমরা এটি পরিদর্শন করে এসেছি এবং ঠিকাদার কে বলে দিয়েছি বালু পেলে পিপি ঢালাইয়ের কাজ করার জন্য। ঢালাইয়ের কাজ তদারকি করার জন্য কেউ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের লোক থাকার কথা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে যদি কাউকে না পেয়ে থাকেন তা হলে হয়তো কোথাও গিয়েছে। আজকে একটি মডেল মসজিদের ছাদ ঢালাই এর কাজ চলিতেছ এ কারনে আমি সেখানে যেতে পারিনি। এসময় কাদার মধ্যে ঢালাই দেওয়ার বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে জানান।

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী একে এম সাকিব এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাঁদা ও পানি থাকা অবস্থা পিপি ঢালাইয়ের কাজ করার কথা নয়। কাঁদা ও পানিতে পিপি ঢালাইয়ের কাজ কতটুকু টিকসই হবে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন। উল্লেখ্য যে,বন বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজের ব্যয় ১কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৪৫ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ করছেন শাদ এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিস্টান এর কাছ থেকে জাশেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কাজ নিয়েছেন বলে জানা যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
৫৫৩ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জে বন বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ভবন নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বৃষ্টির পানি ও কাঁদার মাঝেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে পিপি ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসের ভবনের নিচ ঢালাই কাজ করছেন কয়েজন শ্রমিক। কাদা ও পানির উপরেই দিচ্ছেন পিপি ঢালাই। বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত বিভাগের নেই কোন প্রতিনিধি।
এসময় শ্রমিকরা জানান, ঠিকাদারের নির্দেশেই এই পরিস্থিতিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

এই বিষয়ে ঠিকাদার জাশেদুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ কাজের ঠিকাদার আমি নই তবে যে ঠিকাদার কাজ করছে আমি অফিসে গিয়ে আপনাকে বলব। পরবর্তীতে তার মোবাইল এ ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন নাই।

একই বিষয়ে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলীর মোঃ হেলিম ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকালকে আমরা এটি পরিদর্শন করে এসেছি এবং ঠিকাদার কে বলে দিয়েছি বালু পেলে পিপি ঢালাইয়ের কাজ করার জন্য। ঢালাইয়ের কাজ তদারকি করার জন্য কেউ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের লোক থাকার কথা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে যদি কাউকে না পেয়ে থাকেন তা হলে হয়তো কোথাও গিয়েছে। আজকে একটি মডেল মসজিদের ছাদ ঢালাই এর কাজ চলিতেছ এ কারনে আমি সেখানে যেতে পারিনি। এসময় কাদার মধ্যে ঢালাই দেওয়ার বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে জানান।

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী একে এম সাকিব এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাঁদা ও পানি থাকা অবস্থা পিপি ঢালাইয়ের কাজ করার কথা নয়। কাঁদা ও পানিতে পিপি ঢালাইয়ের কাজ কতটুকু টিকসই হবে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন। উল্লেখ্য যে,বন বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজের ব্যয় ১কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৪৫ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ করছেন শাদ এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিস্টান এর কাছ থেকে জাশেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কাজ নিয়েছেন বলে জানা যায়।