ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় স্বামীকে হত্যার পর স্ত্রীর আত্মহত্যা

এম ইদ্রিস আলী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি::

ছবি: প্রতিকী

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়া গ্রামে এক ভাড়াটিয়া বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটে। নিহত স্বামী আবুল কালাম আজাদ কলারোয়া থানার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। আত্মহত্যাকারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনীন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ছোট স্ত্রী নাজনীন প্রথমে স্বামী আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করেন। এরপর একটি চিরকুট লিখে নিজেও গলায় ফাঁস দেন। চিরকুটে লেখা ছিল:

“আমি কিছু শেষ করে দিলাম। আমি ২.৩১ মিনিটে মারছি, এবার আমিও মরছি। একা হলেও বাঁচবো না, কারণ শারমিন ও তার পরিবার আমাকে শেষ করে দেবে। তাই আমরা দুইজন মরে গেলাম। এবার তোমরা সংসার করো, ভালো করে। আর কেউ বিরক্ত করবে না। আমার ছেলে কষ্ট পাবে, তারপরও কালামের জন্য আমি সবাইকে কষ্ট দিলাম। তবুও সে আমাকে কষ্ট দিল, শয়তান একটা।”

নাজনীন হত্যার পর আবুল কালাম আজাদের বুকের ওপর কলম দিয়ে লেখেন: “সরি জান, আই লাভ ইউ”। এরপর তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, আবুল কালাম আজাদের দুই স্ত্রী ছিলেন। তবে বড় স্ত্রী শারমিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল না। ছোট স্ত্রী নাজনীন একসঙ্গে বসবাসের দাবি জানিয়ে বড় স্ত্রী শারমিনকে ফোন করেন। কিন্তু শারমিন রাজি না হওয়ায় ক্ষোভ থেকেই এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১০:০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫২২ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরায় স্বামীকে হত্যার পর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১০:০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়া গ্রামে এক ভাড়াটিয়া বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটে। নিহত স্বামী আবুল কালাম আজাদ কলারোয়া থানার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। আত্মহত্যাকারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনীন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ছোট স্ত্রী নাজনীন প্রথমে স্বামী আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করেন। এরপর একটি চিরকুট লিখে নিজেও গলায় ফাঁস দেন। চিরকুটে লেখা ছিল:

“আমি কিছু শেষ করে দিলাম। আমি ২.৩১ মিনিটে মারছি, এবার আমিও মরছি। একা হলেও বাঁচবো না, কারণ শারমিন ও তার পরিবার আমাকে শেষ করে দেবে। তাই আমরা দুইজন মরে গেলাম। এবার তোমরা সংসার করো, ভালো করে। আর কেউ বিরক্ত করবে না। আমার ছেলে কষ্ট পাবে, তারপরও কালামের জন্য আমি সবাইকে কষ্ট দিলাম। তবুও সে আমাকে কষ্ট দিল, শয়তান একটা।”

নাজনীন হত্যার পর আবুল কালাম আজাদের বুকের ওপর কলম দিয়ে লেখেন: “সরি জান, আই লাভ ইউ”। এরপর তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, আবুল কালাম আজাদের দুই স্ত্রী ছিলেন। তবে বড় স্ত্রী শারমিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল না। ছোট স্ত্রী নাজনীন একসঙ্গে বসবাসের দাবি জানিয়ে বড় স্ত্রী শারমিনকে ফোন করেন। কিন্তু শারমিন রাজি না হওয়ায় ক্ষোভ থেকেই এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।