স্ত্রীর পরকীয়ায় খুন আল আমিন, দুগ্রুপের দন্ধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্নবকে হত্যা
খুলনা মহানগরে ঘটে যাওয়া দুটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। প্রথমটি হলো বেসরকারি মোবাইল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আল আমিন ওরফে ইমন হত্যা, যেখানে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয়। অপরটি হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের ছাত্র অর্নব কুমারের হত্যাকাণ্ড, যা সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আল আমিন ওরফে ইমন স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হয়েছেন। তার স্ত্রী লামিয়া ইসলাম সুমি খুলনার বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। ইমন এই সম্পর্কটি জানাজানি হলে বিশ্বজিৎকে ফোন করে গালিগালাজ করেন, যার পর বিশ্বজিৎ তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। বিশ্বজিৎ, তার পূর্ব কর্মচারী নাইম ও মুন্সিকে ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করে হত্যার জন্য।
ঘটনার দিন, ২১ ফেব্রুয়ারি, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার কাছে ইমনকে মোটরসাইকেল চালানোর সময় পেটের বাম পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়, এবং তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। পুলিশ এই হত্যার তদন্তে গিয়ে বিশ্বজিৎ সাহাকে গ্রেফতার করে। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্নব কুমারের হত্যাকাণ্ডও সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে। অর্নব সরকার, পলাশ ও কালা লাভলু নামে পরিচিত সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য ছিলেন, এবং গ্রেনেড বাবুর সদস্যরা তাকে হত্যা করে। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। সন্ত্রাসী ইনসান শরিফের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও দুটি রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বর্তমানে কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, খুলনা মহানগর পুলিশ কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে এবং অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।