মোশাহিদ মিয়ার নামে প্রকাশিত মিথ্যে সংবাদের প্রতিবাদ
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জের বানী পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “ব্রাহ্মণডুরায় বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে আ’লীগ নেতার অপকর্ম” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচারিত।
সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আমি মোশাহিদ মিয়া ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছি, আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল আলম দীপনের নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি এবং অলিপুর সিএনজি স্টেশন থেকে চাঁদা আদায় করছি। এছাড়া, থানার সোর্স হিসেবে কাজ করা ও নিরীহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগও আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট।
প্রকৃতপক্ষে, আমি ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং পরবর্তীতে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে আমি একই পদে দায়িত্বে রয়েছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমলে আমি একাধিক মামলার শিকার হয়েছি, হামলা-মামলার মাধ্যমে নিপীড়নের স্বীকার হয়েছি এবং জেলও খেটেছি, যা ইউনিয়নবাসী ও দলের নেতাকর্মীরা অবগত আছেন।
২০১৯ সালে বদরুল আলম দীপন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আমি তাকে চাচাতো ভাই হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন দিয়েছিলাম, তবে তার নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
গত নভেম্বর মাসে ২৮০৫ নিবন্ধনপ্রাপ্ত একটি শ্রমিক সংগঠনের শাখা অলিপুরে স্থাপন করি, যেখানে আমি যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। অলিপুর সিএনজি স্টেশনে শুধুমাত্র শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করছি, কিন্তু কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সঙ্গে আমি জড়িত নই। তাছাড়া, থানার সোর্স হওয়ার প্রশ্নই আসে না, কারণ আমি কখনো এই ধরনের কাজে জড়িত ছিলাম না, এখনো নেই।
আমার নামে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর অভিযোগ এনে একটি কুচক্রী মহল আমার ব্যক্তিগত মান-সম্মান ও রাজনৈতিক দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা, মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
প্রতিবাদকারী-
মোঃ মোশাহিদ মিয়া
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
১১নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন বিএনপি
শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ।