ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা ড. এম.এ মুহিতের পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি::

ছবি: চেকপোস্ট

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীসহ তৃণমূল বিএনপি নেতারা দলীয় পদ থেকে ড. এম.এ মুহিতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপির আয়োজিত এক সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে এই দাবি জানান।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্যে বলা হয়, ড. এম.এ মুহিত একজন বর্ষীয়ান নেতা এবং সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. এম.এ মতিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে শাহজাদপুরের বিএনপির অভিভাবক হিসেবে নেতাকর্মীদের বিপদ-আপদে সাহায্য করেছেন এবং তাদের আশ্রয়স্থল ছিলেন। কিন্তু তুচ্ছ একটি ঘটনার কারণে তার সকল দলীয় পদ স্থগিত করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম জানান, গত শনিবার শাহজাদপুরে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময় গোলাম সারোয়ার ও তার অনুসারীদের সঙ্গে কিছু নেতাকর্মীর তর্কবিতর্ক ও সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় ড. এম.এ মুহিত উপস্থিত ছিলেন না। তবে, এই ঘটনা কেন্দ্র করে তার সকল দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে, যা তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নেতাকর্মীরা আশা করছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এই পদক্ষেপ পুনঃবিবেচনা করবেন।

উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন জুয়েল বলেন, “ড. এম.এ মুহিত দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জেলে থাকা নেতাদের পরিবারদের খরচ বহন করেছেন এবং সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। কিন্তু এখন শুধুমাত্র একটি তুচ্ছ ঘটনার কারণে তার পদ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা ছাত্রদল তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবিলম্বে তার পদ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

এদিকে, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতারা একই দাবি জানিয়ে বলেন, ড. এম.এ মুহিতের নেতৃত্বে তারা অনেক কষ্টের সময় কাটিয়েছেন এবং তার সহায়তায় বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, “ড. এম.এ মুহিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বিপুল সমর্থক নিয়ে বিএনপির সমাবেশে যোগদান করেন। তার ভূমিকা ছিল আন্দোলন সংগ্রামে প্রশংসনীয়।”

এ প্রসঙ্গে, গত শনিবার শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশের সময় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য গোলাম সারোয়ারকে বাধা দেওয়া হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ড. এম.এ মুহিত উপস্থিত ছিলেন না, তবুও কেন্দ্রীয় বিএনপি তার এবং গোলাম সারোয়ারের সকল দলীয় পদ স্থগিত করেছে।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের দাবিগুলি সুনির্দিষ্টভাবে বিবেচনা করবে এবং ড. এম.এ মুহিতের পদ ফিরিয়ে দেয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি নেতা ড. এম.এ মুহিতের পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবী

আপডেট সময় ০৯:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীসহ তৃণমূল বিএনপি নেতারা দলীয় পদ থেকে ড. এম.এ মুহিতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপির আয়োজিত এক সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে এই দাবি জানান।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্যে বলা হয়, ড. এম.এ মুহিত একজন বর্ষীয়ান নেতা এবং সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. এম.এ মতিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে শাহজাদপুরের বিএনপির অভিভাবক হিসেবে নেতাকর্মীদের বিপদ-আপদে সাহায্য করেছেন এবং তাদের আশ্রয়স্থল ছিলেন। কিন্তু তুচ্ছ একটি ঘটনার কারণে তার সকল দলীয় পদ স্থগিত করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম জানান, গত শনিবার শাহজাদপুরে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময় গোলাম সারোয়ার ও তার অনুসারীদের সঙ্গে কিছু নেতাকর্মীর তর্কবিতর্ক ও সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় ড. এম.এ মুহিত উপস্থিত ছিলেন না। তবে, এই ঘটনা কেন্দ্র করে তার সকল দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে, যা তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নেতাকর্মীরা আশা করছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এই পদক্ষেপ পুনঃবিবেচনা করবেন।

উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন জুয়েল বলেন, “ড. এম.এ মুহিত দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জেলে থাকা নেতাদের পরিবারদের খরচ বহন করেছেন এবং সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। কিন্তু এখন শুধুমাত্র একটি তুচ্ছ ঘটনার কারণে তার পদ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা ছাত্রদল তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবিলম্বে তার পদ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

এদিকে, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতারা একই দাবি জানিয়ে বলেন, ড. এম.এ মুহিতের নেতৃত্বে তারা অনেক কষ্টের সময় কাটিয়েছেন এবং তার সহায়তায় বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, “ড. এম.এ মুহিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বিপুল সমর্থক নিয়ে বিএনপির সমাবেশে যোগদান করেন। তার ভূমিকা ছিল আন্দোলন সংগ্রামে প্রশংসনীয়।”

এ প্রসঙ্গে, গত শনিবার শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশের সময় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য গোলাম সারোয়ারকে বাধা দেওয়া হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ড. এম.এ মুহিত উপস্থিত ছিলেন না, তবুও কেন্দ্রীয় বিএনপি তার এবং গোলাম সারোয়ারের সকল দলীয় পদ স্থগিত করেছে।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের দাবিগুলি সুনির্দিষ্টভাবে বিবেচনা করবে এবং ড. এম.এ মুহিতের পদ ফিরিয়ে দেয়া হবে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/checkpostcom/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464