সীমান্তে বিজিবির জনসচেতনতামূলক সভা
চোরাকারবারিরা আর জামিনে ছাড়া পাচ্ছে না-সেক্টর কমান্ডার
সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে জনসচেতনতামূলক সভা করেছে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ান ২৮ বিজিবি। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চাঁনপুর মাঠে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক সীমা রেখায় অবৈধভাবে বালু পাথর, কয়লা উত্তোলন ও গবাদীপশু চরানো বন্ধ করাসহ নারী ও শিশু পাচার রোধ এবং মাদকদ্রব্যসহ সকল ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে স্থানীয়দের মধ্যে জনসচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ান ২৮ বিজিবির অধিনায়ক এ কে এম জাকারিয়া কাদির, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেম, থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন।
সভা শেষে দিনব্যাপী সীমান্ত এলাকার অসহায় গরীব মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
বক্তব্যে সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী যে অভিযান পরিচালনা করা হয়, বিভিন্ন সময় চোরাচালান এবং মালামাল আটক করার পর চোরাকারবারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ চালায়, এতে আমাদের লোকজন আহত হয়। সম্প্রতি আমরা যা করেছি, সেটি হচ্ছে সিলেটের এসপি এবং সুনামগঞ্জের এসপির সাথে আমাদের অধিনায়করা কথা বলেছেন, আমিও কথা বলেছি।
সম্প্রতি যা লক্ষ্য করছি, তা হলো চোরাকারবারিরা আর জামিনে ছাড়া পাচ্ছে না। যারা এই আক্রমণগুলো করছে, তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা আরও শক্ত হচ্ছে। আমরা এটাই চাই, তারা অবৈধভাবে কাজ করবে, ভারতীয় মালামাল আনবে, চোরাচালান এনে আমাদের দেশের ক্ষতি করবে— তারা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হতে না পারে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় সিলেট এবং সুনামগঞ্জে বিজিবির করা মামলায় তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী— পুলিশ, বিজিবি, আনসার— যারা চোরাকারবারির বিরুদ্ধে কাজ করবে, সরকারি কাজ করবে, তাদের উপর যদি চোরাকারবারিরা আক্রমণ করতে চায়, তাহলে শক্তভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।