আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের তীব্র ক্ষোভ!
মাধবপুরে বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসাদের দিয়েই হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন!
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৩ টি কেন্দ্রের অধিকাংশেই বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসাদের পরিবর্তন না করায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সচেতন মহল অনেকে।
তাদের অভিযোগ পার্শ্ববর্তী শায়েস্তাগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলা থেকে লোক দেখানো কয়েকজন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হলেও মূল ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তা ৯৩ জন প্রিসাইডিং অফিসারদের মধ্যে তেমন কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহানের প্রতিষ্ঠিত কলেজ মাওলানা আসাদ আলী ডিগ্রী (সাবেক সৈয়দ সৈয়দ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ) কলেজের ১০ জন প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়োগ বহাল নীল নকশা বা ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করছেন তারা।তাদের অভিযোগ মূল প্রিসাইডিং অফিসারদের পরিবর্তন না করে কতিপয় কিন্ডারগার্টেনের নিরীহ পোলিং অফিসারদের পরিবর্তন করা লোক দেখানো মাত্র।
কথা উঠছে, মাওলানা আসাদ আলী ডিগ্রী কলেজের ১০ জন বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসারদের দিয়ে তারা নির্দিষ্ট প্রার্থীর সাথে গোপন লেনদেনে সংযুক্ত।গণনার সময় বান্ডিল ছয়-নয় করে জিতিয়ে দেবেন পছন্দের প্রার্থীকে এমন অভিযোগের গুঞ্জন লোকমুখে। এছাড়া মাধবপুর পৌরসভার সচিব আমিনুল ইসলাম, বিআরডিবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল ফয়সল চৌধুরীর, এনআরবি ব্যাংকের অফিসারগনসহ,ছাতিয়াইনের বিশ্বনাথ হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামসহ কতিপয় প্রিসাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা, দুর্নীতি নির্দিষ্ট প্রার্থীর সুবিধা গ্রহণ ও বিএনপি-জামাত দলীয় সংশ্লিষ্ট তার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।তবে এসব অভিযোগ ভোট গ্রহণ দায়িত্বে কেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আপন মিয়া বলেন, কোনরকম বিতর্ক কিংবা কথা উঠলে তাৎক্ষণিক উচিত সেই কর্মকর্তাদের স্থলে অন্য বিতর্কমুক্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা। কিন্তু এবারের নির্বাচনে এসব ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা এর সুন্দর সমাধান চাই।
এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন মাধবপুর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান হাবিব, আমাদের দল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও সৈয়দ শাহজাহানের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনভাবেই পেরে উঠা সম্ভব নয় । প্রিজাইডিং অফিসাররা চাইলে ছয়কে নয় করতে পারে। আমরা অনতিবিলম্বে বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসার প্রত্যাহার চাই।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সূত্র জানাচ্ছেন, আমাদের ক্ষমতা নেই সরকারি দল ক্ষমতায়। তাই প্রশাসনকে ম্যানেজ করার ক্ষমতা থাকলে ওরাই করবে আমাদের কিছু করার নেই । আমরা শান্তিপ্রিয় নির্বাচনে কাজ করে যাচ্ছি মাত্র।
গোপন সূত্রের খবর, প্রশাসনের যোগ সাজসে ঘোড়া, চশমা ও পদ্মফুল প্রতীককে পাস করানোর নীলনকশা বা সাদা নকশা চূড়ান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। খবর আছে বড় আর্থিক লেনদেনেরও। এক্ষেত্রে প্রয়োজনের কার্যকরী উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো নয়।
গোপন সূত্রের এই খবর নির্বাচনী হাওয়ায় চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। ভোটের মাত্র একদিন বাকি কি। কী পদক্ষেপ নিবেন কর্তৃপক্ষ ও প্রার্থীরা এখন সেটি দেখার বিষয়।