ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন: ইউএনও বরাবর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার::

ছবি: চেকপোসট

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাও ইউনিয়নের কাতিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে একটি চক্র, যা স্থানীয়দের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সরকারী নির্দেশনায় শুধুমাত্র কৃষি ইন্সটিটিউটের জন্য বালু সরবরাহের কথা ছিল, তবুও একতা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন এবং বিক্রি করছে।

কাতিয়া গ্রামে অবস্থিত কুশিয়ারা নদী থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম-কানুন অমান্য করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ থেকে ৪টি ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিদিনই লক্ষ কোটি ঘনফুট বালু-মাটি উত্তোলন করে তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে, এলাকার রাস্তা, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, কলেজ এবং ফসলি জমি সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী ভাঙ্গনের শিকার হতে পারে।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, সরকারের নির্ধারিত সময় ও স্থান উপেক্ষা করে ক্ষমতাশালী এক সিন্ডিকেট এই কাজটি করছে। তারা অভিযোগ করে যে, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাটি ও বালু উত্তোলন করার ফলে বিশাল আকারের গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে, যা যে কোনো সময় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

এলাকার বাসিন্দারা ২০২৪ সালের ২৯ মে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন, একতা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী শফিক মোঃ জাবেদ ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অবাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছিলেন, কিন্তু তার অপব্যবহার করে স্থানীয় নেতা জুয়েল আহমেদ ও রাসেল গংয়ের নেতৃত্বে কুশিয়ারা নদী থেকে প্রতিদিন লক্ষ কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এই কাজের কারণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত এবং স্থানীয় সরকারের সম্পদও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

গত মঙ্গলবার, জগন্নাথপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেলে, গ্রামবাসী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী এবং সচেতন মহল প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
৫৬৪ বার পড়া হয়েছে

কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন: ইউএনও বরাবর অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাও ইউনিয়নের কাতিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে একটি চক্র, যা স্থানীয়দের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সরকারী নির্দেশনায় শুধুমাত্র কৃষি ইন্সটিটিউটের জন্য বালু সরবরাহের কথা ছিল, তবুও একতা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন এবং বিক্রি করছে।

কাতিয়া গ্রামে অবস্থিত কুশিয়ারা নদী থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম-কানুন অমান্য করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ থেকে ৪টি ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিদিনই লক্ষ কোটি ঘনফুট বালু-মাটি উত্তোলন করে তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে, এলাকার রাস্তা, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, কলেজ এবং ফসলি জমি সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী ভাঙ্গনের শিকার হতে পারে।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, সরকারের নির্ধারিত সময় ও স্থান উপেক্ষা করে ক্ষমতাশালী এক সিন্ডিকেট এই কাজটি করছে। তারা অভিযোগ করে যে, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাটি ও বালু উত্তোলন করার ফলে বিশাল আকারের গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে, যা যে কোনো সময় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

এলাকার বাসিন্দারা ২০২৪ সালের ২৯ মে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন, একতা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী শফিক মোঃ জাবেদ ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অবাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছিলেন, কিন্তু তার অপব্যবহার করে স্থানীয় নেতা জুয়েল আহমেদ ও রাসেল গংয়ের নেতৃত্বে কুশিয়ারা নদী থেকে প্রতিদিন লক্ষ কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এই কাজের কারণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত এবং স্থানীয় সরকারের সম্পদও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

গত মঙ্গলবার, জগন্নাথপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেলে, গ্রামবাসী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী এবং সচেতন মহল প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।