চিরিরবন্দরে ধান সংগ্রহে স্থবিরতা: খোলাবাজারে দামের প্রভাব
চিরিরবন্দর প্রতিনিধি: চলতি আমন মৌসুমে চিরিরবন্দর উপজেলার খাদ্য অধিদপ্তর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে। প্রথম দুই মাসে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার দুটি খাদ্যগুদামে কোনো ধান সংগ্রহ হয়নি।
সরকার চলতি মৌসুমে চিরিরবন্দর উপজেলায় ২,১৩৭ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলতি বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে। তবে নির্ধারিত চার মাস সময়ের মধ্যে দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও লক্ষ্যমাত্রার ১৫% ধান সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।
খোলাবাজারে ধানের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করছে। সরকার প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১,৩২০ টাকা। তবে খোলাবাজারে এর চেয়ে বেশি দামে ধান বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা বাজারে ধান বিক্রিতেই বেশি আগ্রহী।
স্থানীয় মিলার ও কৃষকরা জানান, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে নানা ধরনের ঝামেলা এবং আর্দ্রতা মাত্রা ১৪ শতাংশের নিচে রাখার বাধ্যবাধকতা বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। বিশিষ্ট মিলার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘হাট-বাজারে নগদ টাকায় ধান বিক্রি করা যায়। কিন্তু সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়।’
চিরিরবন্দর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান ও বাবু নিমাই জানান, প্রায় শতাধিক মিলার চুক্তিবদ্ধ থাকলেও অটো রাইস মিল থেকে কিছু সরবরাহ হলেও হাস্কিং মিলারদের অংশগ্রহণ একেবারেই নেই।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে খোলাবাজারের দামের চেয়ে প্রতিযোগিতা করাটা কঠিন। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।’