সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোগীদের খাদ্য সরবরাহে অনিয়ম বা নিম্নমানের পণ্য সরবরাহের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী রোগীদের জন্য প্রতিদিন ১২৫ টাকার খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। পুরাতন দরপত্র অনুসারে একই মূল্যে বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। হাসপাতালের রোগীরা নাস্তা হিসেবে কলা, ডিম, পাউরুটি, ও চিনি এবং দুপুর ও রাতের খাবারে ভাত, মাছ, ডাল, ও সবজি পাচ্ছেন।
কিছু রোগী খাদ্য না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, রফিকুল ইসলাম মিস্ত্রি (৬৭) জানান, তিনি ৫ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও কোনো খাদ্য পাননি। এ বিষয়ে সরকারি বাবুর্চি মোঃ রেজাউল ইসলাম বাবু জানিয়েছেন, প্রতিদিন ১০০ জনের খাদ্য বরাদ্দ থাকলেও হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৬০-১৮০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। অতিরিক্ত রোগীদের জন্য কোনো সরকারি বরাদ্দ না থাকায় তারা খাদ্য পান না।
সরবরাহকারী এস.এম নজরুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে খাদ্য সরবরাহ করে আসছেন। তবে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিকাদার মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার চালিয়ে তার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আঃ সালাম বলেন, “রোগীদের খাদ্য তালিকা অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে এবং মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ করা হয়। আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির পর নতুন দরপত্র আহ্বান করা হবে।”
রোগীরা খাদ্য বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, দৈনিক রোগীপ্রতি বরাদ্দ ১২৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫০ টাকা করা হোক, যাতে প্রতিটি রোগী খাদ্য পায়।
সরবরাহকারী এস.এম নজরুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন জনগণ ও সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছেন, অপপ্রচারে কান না দিয়ে সরাসরি খাদ্য সরবরাহ পর্যবেক্ষণ করার জন্য।