পিএমজি স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তীতে নবীন ও প্রবীণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান খুলনার ঐতিহ্যবাহী বয়রা ডাক বিভাগীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় (পিএমজি স্কুল) সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে। আজ (১৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে নবীন ও প্রবীণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাঁধভাঙা আনন্দ আর উৎসবে মুখর ছিল বয়রা পোস্টাল এস্টেট স্কুল চত্বর।
সুবর্ণ জয়ন্তীর আয়োজনটি বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করেছিল। সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারী নিজেদের শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। আলোচনা সভা, সংবর্ধনা, স্মৃতিচারণ, এবং সেলফি বা ফটোসেশন ছিল দিনব্যাপী আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শুভ উদ্ধোধন করেন, প্রধান অতিথি দক্ষিনাঞ্চলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল মুহাম্মদ জহিরুল আলম। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক এফ এম হারুন অর রশিদ,শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক সরকারী বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি এ্যাড: শেখ জাকিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি ও উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম, স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মো: জাহাঙ্গীর ইসলাম, সদস্য সচিব এস এম বদরুল আলম রয়েল, বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল, চৌধুরী মুশফিকুর রহমান মেস্কো,মোহাম্মদ ওলিয়ার রহমান মানিক,শহিদুল্লাহ বাবলু,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগনের মধ্যে স্মৃতি চারন করে বক্তব্য রাখেন শেখ মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মফিজুর রহমান প্রমুখ।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে শেখ মনিরুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ মফিজুর রহমান তাঁদের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে অংশ নেন।
সন্ধ্যার পর জনপ্রিয় ব্যান্ড “আর্ক” এর শিল্পী হাসানের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা পুরো প্রাঙ্গণকে সুরে মাতিয়ে তোলে।
এই আয়োজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর পুরোনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এই স্মৃতি তাঁদের জীবনে অমূল্য হয়ে থাকবে।