খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত কাউন্সিলর গোলাম রব্বানি টিপুর লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বাদ জোহর দৌলতপুর থানার দেয়ানা ফুটবল মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে দেয়ানা কৃষি কলেজ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি পিতা, স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, দুই ভাই, এক বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জানাজার নামাজে স্থানীয় এলাকাবাসী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গোলাম রব্বানির মৃত্যুতে এলাকাবাসী ও পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিভিন্ন সংগঠন পৃথক বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মরহুম গোলাম রব্বানি তার কর্মের মাধ্যমে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”

জানাজার সময় দেয়ানা উত্তরপাড়া ফুটবল মাঠ ও আশপাশের সড়কজুড়ে লোকসমাগম হয়। অনেক দূর থেকে আসা মানুষও তাকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন।

গত ৯ জানুয়ারি, কক্সবাজারের সিগাল হোটেলের পাশে ঝাউবাগানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানি টিপু। স্থানীয় টমটম চালক আবদুস সালাম গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল তার লাশ নিজ বাড়িতে আনা হয় এবং আজ দাফন সম্পন্ন হয়।

ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে কেসিসির ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান ইফতেখার ওরফে চালুকে র‌্যাব কক্সবাজারের হোটেল গোল্ডেন হিল থেকে আটক করেছে। তবে তাদের সঙ্গে থাকা রুমি নামের এক যুবতী পালিয়ে যান।

নিহতের ভগ্নিপতি ইউসুফ শেখ কক্সবাজার থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, শত্রুরা ভাড়াটে শুটারের মাধ্যমে গোলাম রব্বানিকে হত্যা করেছে। তবে কারা এই হত্যার পেছনে রয়েছে, সে বিষয়ে পরিবারের কেউ কিছু বলতে রাজি হননি।

গোলাম রব্বানি টিপু খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি সেচ্ছাসেবক লীগের খুলনা মহানগর সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।