মাধবপুর প্রেসক্লাবে আগুন: অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক
হবিগঞ্জের মাধবপুরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক নাশকতামূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বোরহানউদ্দিন সোহাগ (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবকটি মানসিক ভারসাম্যহীন এবং মাদকাসক্ত। তবে তাকে এসব কর্মকাণ্ডে কেউ উসকানি দিয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত বোরহানউদ্দিনের বাড়ি উপজেলার বহরা ইউনিয়নের আফজলপুর গ্রামে।
সর্বশেষ গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ৩৪ মিনিটে মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে স্থাপিত মেধা চত্বরের ব্যানার ছেড়ার দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় ছাত্ররা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে বোরহানউদ্দিন স্বীকার করেন যে, তিনি মাধবপুর প্রেসক্লাবে দুইবার আগুন লাগানোর পাশাপাশি মেধা চত্বরের ব্যানার ছেড়েছেন এবং বহরা ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর করেছেন।
মাধবপুর উপজেলা ছাত্র সমন্বয়ক শামসুল ইসলাম বাবলু জানান, “সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা বোরহানউদ্দিনকে আটক করি। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মাধবপুর প্রেসক্লাবে আগুন দেওয়া, মেধা চত্বরের ব্যানার ছেঁড়া এবং বহরা ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুরের ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। আমরা খতিয়ে দেখছি, কেউ তাকে উসকানি দিয়েছে কি না। যারা এর পেছনে রয়েছে, তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
মাধবপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ও মাইটিভির প্রতিনিধি রাজীব দেব রাজু বলেন, “প্রেসক্লাবে হামলা মানে গণমাধ্যমের ওপর হামলা। যারা এর সঙ্গে জড়িত বা তাকে উসকানি দিয়েছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে বোরহানউদ্দিন এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারেন। তবে তার পেছনে কোনো প্রভাবশালী চক্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।