বাগেরহাটে বিএনপির সংঘর্ষ: আহত ২০, ৮ বাড়িতে আগুন ও লুটপাট
বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কুলিয়াদাইড় গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সংঘর্ষে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আহতদের মধ্যে ৬ জনকে বাগেরহাট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় মাহমুদ মোল্লা (৪৮) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শেখ মো. সায়েল উদ্দিন (৬০), লিটন শেখ (২৫), মামুন মোল্লা (৪২), কেরামত আলী (৩৮), ও রোজিনা বেগম (৪৫)।
বিএনপির জেলা সভাপতি আকরাম হোসেন তালিমের উপস্থিতিতে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মোল্লা মো. মোস্তাফিজ রহমান ও শেখ মো. রুহুল আমীনের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শেখ রুহুল আমীন জানান, দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে ভিআইপি মোড়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়, এতে তার দলের কয়েকজন আহত হন।
অন্যদিকে মোল্লা মোস্তাফিজ রহমান গ্রুপের নেতা মাসুম মোল্লা অভিযোগ করেন, তাদের দলের ওপর হামলার জেরে থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার সময় শেখ রুহুল আমীনের গ্রুপ আবার তাদের ওপর আক্রমণ করে। বিকেলে এই হামলার জেরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে সন্ধ্যায় শেখ রুহুল আমীনের পরিবারের ৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের ঘরবাড়ি থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির অভ্যন্তরীণ এই দ্বন্দ্ব এলাকার শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।