ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুর চিরিরবন্দরে তুলার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা ,চিরিরবন্দর ,দিনাজপুর ::

ছবি: চেকপোস্ট

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি তুলার কারখানা সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) উপজেলার চম্পাতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

কারখানার মালিক মো. মনজের আলী জানান, আগুনে অন্তত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারখানার শ্রমিকরা প্রথমে আগুন দেখতে পেয়ে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার টন তুলা, তুলার মেশিন এবং কারখানার ঘর পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের ছেলে লিমন হোসেন বলেন, “সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় আমরা নি:স্ব হয়ে গেছি। মাত্র একদিন আগে ঢাকা থেকে দুই ট্রাক তুলা এনেছিলাম, যা বিক্রি করে দেনা শোধ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন সব শেষ হয়ে গেছে। এনজিও থেকে লোন নিয়ে তুলাগুলো এনেছিলাম। এ অবস্থায় কীভাবে দেনা পরিশোধ করব, তা ভাবতেও পারছি না।”

অগ্নিকাণ্ডে কারখানার অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি, যদি আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়, তাহলে পুনরায় ব্যবসা শুরু করে দেনা শোধ করার সুযোগ পাবেন।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুর চিরিরবন্দরে তুলার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আপডেট সময় ০৫:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি তুলার কারখানা সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) উপজেলার চম্পাতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

কারখানার মালিক মো. মনজের আলী জানান, আগুনে অন্তত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারখানার শ্রমিকরা প্রথমে আগুন দেখতে পেয়ে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার টন তুলা, তুলার মেশিন এবং কারখানার ঘর পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের ছেলে লিমন হোসেন বলেন, “সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় আমরা নি:স্ব হয়ে গেছি। মাত্র একদিন আগে ঢাকা থেকে দুই ট্রাক তুলা এনেছিলাম, যা বিক্রি করে দেনা শোধ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন সব শেষ হয়ে গেছে। এনজিও থেকে লোন নিয়ে তুলাগুলো এনেছিলাম। এ অবস্থায় কীভাবে দেনা পরিশোধ করব, তা ভাবতেও পারছি না।”

অগ্নিকাণ্ডে কারখানার অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি, যদি আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়, তাহলে পুনরায় ব্যবসা শুরু করে দেনা শোধ করার সুযোগ পাবেন।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।