বীরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য, পাঠদান ব্যাহত
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে, যার ফলে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬২টি প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই এবং সহকারী শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর ফলে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মানে তেমন উন্নতি হচ্ছে না, এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হলে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৫০ শতাংশের কম। উদাহরণস্বরূপ, নিজপাড়া গ্রাম ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২০ জন শিক্ষার্থীর নাম থাকা সত্ত্বেও ক্লাসে ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী হাজির থাকে, আর সাদুল্যাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৭ জনের মধ্যে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনই ক্লাসে উপস্থিত থাকে। এ বিদ্যালয়গুলোতে অভিভাবকদের উপস্থিতি, এসএমসি মিটিং এবং হোমভিজিটের কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও অনেক ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে। কিছু বিদ্যালয়ে স্লিপের টাকা আত্মসাৎ, সময়মতো স্কুলে না আসা, ক্লাস না নেওয়ার মতো বিষয়গুলো পরিলক্ষিত হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছা: শাহজিদা হক জানিয়েছেন, তিনি নতুন যোগদান করেছেন এবং বিদ্যালয়গুলোতে পরিদর্শন করছেন। যদি কোনো অনিয়ম হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফজলে এলাহী জানালেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
এ উপজেলার ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬৮ জন প্রধান শিক্ষক কর্মরত, তবে ৬২টি পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ১,১৬২ জনের মধ্যে ১,৫৮ জন কর্মরত, বাকিরা শূন্য। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি উঠেছে।