সাতক্ষীরায় দুই সন্তানের জননী হালিমা খাতুন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল আমিন পাড়া গ্রামের মুনছুর আলী’র ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ২৫ বছর আগে মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক বিবাহিত হালিমা খাতুন গত ০২ জানুয়ারি রাতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এ ঘটনার পর তার বাবা আকবর আলী সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানানো হয়েছে, হালিমা খাতুনের শাশুড়ী ফাতেমা বেগম (৫৯) এবং স্বামী আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছিলেন।
বিবাহিত জীবনে হালিমা খাতুন তার শাশুড়ী ও স্বামীর হাতে প্রায়ই নির্যাতিত হতেন। হালিমা খাতুনকে কখনো খাবারের অভাবে, কখনো শারীরিক নির্যাতনে সামনা করতে হতো। বারবার তাকে তার বাবার বাড়ি পাঠানো হতো। এসব কারণে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফায় সালিশ করেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
গত ০২ জানুয়ারি রাতে, আব্দুর রাজ্জাক হালিমা খাতুনকে তার শয়নকক্ষে একা রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন। পরের দিন হালিমা খাতুনের বাবা, স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে তার মেয়েকে খুঁজতে রাজ্জাকের বাড়িতে যান, কিন্তু তাকে না পেয়ে তিনি বিবাদীদের কাছ থেকে সন্তোষজনক কোনো উত্তর পাননি।
নিখোঁজ হালিমা খাতুনের বাবা, আকবর আলী, আশঙ্কা করছেন যে, তার মেয়ে হয়তো নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে এবং বিবাদীদ্বয় তার মরদেহ অন্যত্র সরিয়ে রেখেছে। তাই তিনি ০৬ জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শামিনুল হক জানিয়েছেন, “একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, এবং হালিমা খাতুনের পরিবার তার সন্ধান চেয়ে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছে।