সাংবাদিকতা পেশার জন্য রাজনৈতিক দলবাজি বন্ধের আহ্বান
সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গণমাধ্যমকে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের প্রভাব থেকে মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ভুয়া পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল এবং সম্পাদক পদে নিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অভিজ্ঞতা ও পেশাগত যোগ্যতার শর্ত আরোপের প্রস্তাবও উত্থাপিত হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এক সভায় এসব প্রস্তাব উঠে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি জেলার সাংবাদিকরা অংশ নেন।
পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেতে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা বা সাংবাদিকতায় পেশাগত ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভুয়া সাংবাদিকতা বন্ধে প্রেস ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের জন্য ডিপ্লোমা কোর্স চালু এবং একক রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়। মফস্বল এলাকার সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ এবং কাজের সুবিধার্থে উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। একটি অভিন্ন সম্পাদকীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন এবং গণমাধ্যমের পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। একাধিক প্ল্যাটফর্মে একই সংবাদের পুনরাবৃত্তি রোধ করে পাঠকদের জন্য বৈচিত্র্যময় সংবাদ পরিবেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিশ্চিত করতে সংস্কার প্রয়োজন। আমরা একটি অভিন্ন ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে চাই, যা সব সংবাদমাধ্যমকে মানতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, একই মালিকানাধীন মিডিয়া হাউস থেকে টেলিভিশন, অনলাইন পোর্টাল, এবং প্রিন্ট ভার্সনের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে, যা সংবাদে বৈচিত্র্যহীনতা সৃষ্টি করছে।
গণমাধ্যম সংস্কারে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে mrc.portal.gov.bd ওয়েবসাইটে তাদের মতামত বা সুপারিশ জমা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।