খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এডভাইজারি কমিটির ২০তম সভা অনুষ্ঠিত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এডভাইজারি কমিটি (আরএসি)-এর ২০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৫ জানুয়ারি সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। সভা পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব ও গবেষণা উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. কাজী দিদারুল ইসলাম।
সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় পর্যায়ের গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাবনা এবং তদনুসারে গবেষণা বরাদ্দ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় গবেষকদের ইউনিট ও ইনোভেটিভ বিষয়ক গবেষণা প্রস্তাব জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে, হিট প্রকল্প থেকে অর্থায়ন পাওয়ার জন্য প্রস্তাব জমা দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষকদের উৎসাহিত করা হয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার গবেষণায় স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন থাকা জরুরি। জনসম্পৃক্ত সমস্যাগুলো নিয়ে আরও গভীর ও বহুমুখী গবেষণা হওয়া উচিত। তিনি কোলাবরেটিভ, মাল্টিডিসিপ্লিনারি এবং ইমপ্যাক্টফুল গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে গবেষণার ফলাফল প্রান্তিক পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুনর রশীদ খান। উপস্থিত ছিলেন জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ খান, ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ জামাল উদ্দীন, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. মাহফুজ উদ-দারাইন এবং অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. জিয়াউল হায়দার।
এছাড়া আরএসির বহিরাগত সদস্য ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাইকগাছা, খুলনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লতিফুল ইসলামও সভায় বক্তব্য রাখেন।
গবেষণালব্ধ ফলাফল এবং তার বাস্তবায়ন প্রান্তিক পর্যায়ে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের আলোচনা ও কার্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।