হাসপাতালের ছাদ থেকে লাফিয়ে রোগীর আত্মহত্যা
দিনাজপুরে মর্মান্তিক এক ঘটনায়, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাদ থেকে লাফিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক রোগী আত্মহত্যা করেছেন। নিহত রোগীর নাম দিবাকর দাস (৪৮)। তিনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিরলপুর মাস্টার পাড়া এলাকার সীতানাথ দাসের ছেলে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দিবাকর দাস গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। এর আগে মাথার সমস্যার কারণে তাকে বীরগঞ্জ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখানে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন, মাথার তীব্র যন্ত্রণা সইতে না পেরে তিনি আরও বেশি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে তিনি মেডিসিন ওয়ার্ডের রেলিং ডিঙিয়ে ছাদ থেকে নিচে ঝাঁপ দেন।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই আমরা মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।”
হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিবাকর দাস গেল বছরের নভেম্বর থেকে মাথার সমস্যার কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে রোগীর মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটে, যা এই মর্মান্তিক ঘটনার কারণ হতে পারে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দিবাকর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও এমন ঘটনার জন্য তারা প্রস্তুত ছিলেন না।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ধরনের ঘটনা রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের জন্য উন্নত মানের মনস্তাত্ত্বিক সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।