ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকিতে রয়েছে আশপাশের লোকজন, ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা

ব্রাহ্মণডোরায় বিদ্যুতের ২৫ কেভি লাইনের গা ঘেঁষে তিন তলা ভবন নির্মাণ

চেকপোস্ট প্রতিবেদক::

২৫ কেভি (কিলো ভোল্ট) শক্তি সম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ও তারের গা ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি ভবন

শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা সড়কের পাশে ২৫ কেভি (কিলো ভোল্ট) শক্তি সম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ও তারের গা ঘেঁষে একটি তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

সেখানে কন্ট্রাক্টর উজ্জল মিয়ার নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জন শ্রমিক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। শ্রমিকরা দু’পায়ের মাঝখানে বিদ্যুতের তার রেখে কাজ করতে দেখা যায়। এতে এসব শ্রমিক ও আশপাশের লোকজন যেকোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছেন। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। উলুহর গ্রামের মৃত মারাজ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া গায়ের জোরে নিয়ম—নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের উলুহর গ্রামের মেইন সড়ক ঘেঁষে তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবনের সঙ্গে গা ঘেঁষা অবস্থায় ২৫ কেভি (কিলো ভোল্ট) শক্তি সম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ও তার রেখে তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবন ঘেঁষে বিপজ্জনকভাবে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। তাছাড়া রাস্তা থেকে ভবন নির্মাণের যে দূরত্ব মেনে ভবন নির্মাণ করার নিয়ম রয়েছে। সেটাও মানা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন বাচ্চু মিয়া। এই ভবন মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তা না হলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয়রা আরও জানান, ভবন মালিক পল্লীবিদ্যুতের কিছু অসাধু ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে কাজের আগে ফোন করে বিদ্যুতের লোডশেডিং করান। দু’ তিন ঘন্টা কাজ করার পর আবার ফোন করে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনে। এভাবেই গত কয়েকদিন ধরে চলেছে। আর এতে ওই এলাকায় প্রচুর লোডশেডিং হচ্ছে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াসহ মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

ভবন মালিক বাচ্চু মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পল্লীবিদ্যুতের শাহজিবাজার এলাকার দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার থেকে ন্যূনতম আড়াই ফিট দূরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে। তবে কোন দুর্ঘটনার জন্য আমরা দায়ী নয় বলে ওই ভবনের মালিককে দ্রুত নোটিশ প্রেরণ করা হবে।

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌঃ সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, সড়কের পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হলে ন্যূনতম পাঁচ ফিট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যদি কেউ এই নিয়ম নীতি না মেনে ভবন নির্মাণ করে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০১:০০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

ঝুঁকিতে রয়েছে আশপাশের লোকজন, ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা

ব্রাহ্মণডোরায় বিদ্যুতের ২৫ কেভি লাইনের গা ঘেঁষে তিন তলা ভবন নির্মাণ

আপডেট সময় ০১:০০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা সড়কের পাশে ২৫ কেভি (কিলো ভোল্ট) শক্তি সম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ও তারের গা ঘেঁষে একটি তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

সেখানে কন্ট্রাক্টর উজ্জল মিয়ার নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জন শ্রমিক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। শ্রমিকরা দু’পায়ের মাঝখানে বিদ্যুতের তার রেখে কাজ করতে দেখা যায়। এতে এসব শ্রমিক ও আশপাশের লোকজন যেকোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছেন। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। উলুহর গ্রামের মৃত মারাজ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া গায়ের জোরে নিয়ম—নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের উলুহর গ্রামের মেইন সড়ক ঘেঁষে তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবনের সঙ্গে গা ঘেঁষা অবস্থায় ২৫ কেভি (কিলো ভোল্ট) শক্তি সম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ও তার রেখে তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবন ঘেঁষে বিপজ্জনকভাবে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। তাছাড়া রাস্তা থেকে ভবন নির্মাণের যে দূরত্ব মেনে ভবন নির্মাণ করার নিয়ম রয়েছে। সেটাও মানা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন বাচ্চু মিয়া। এই ভবন মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তা না হলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয়রা আরও জানান, ভবন মালিক পল্লীবিদ্যুতের কিছু অসাধু ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে কাজের আগে ফোন করে বিদ্যুতের লোডশেডিং করান। দু’ তিন ঘন্টা কাজ করার পর আবার ফোন করে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনে। এভাবেই গত কয়েকদিন ধরে চলেছে। আর এতে ওই এলাকায় প্রচুর লোডশেডিং হচ্ছে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াসহ মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

ভবন মালিক বাচ্চু মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পল্লীবিদ্যুতের শাহজিবাজার এলাকার দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার থেকে ন্যূনতম আড়াই ফিট দূরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে। তবে কোন দুর্ঘটনার জন্য আমরা দায়ী নয় বলে ওই ভবনের মালিককে দ্রুত নোটিশ প্রেরণ করা হবে।

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌঃ সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, সড়কের পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হলে ন্যূনতম পাঁচ ফিট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যদি কেউ এই নিয়ম নীতি না মেনে ভবন নির্মাণ করে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।