রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় বিজয় দিবস পরবর্তী একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর স্থানীয় ৬ নং মারিয়া গ্রামের বিএনপি কর্মীদের দিকে।

উপজেলার পালি গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক সাহেদ হোসেন রাজু (৩০)-কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সাহেদ হোসেন মুভি বাংলা টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান হিসেবে কর্মরত।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পালি গ্রামে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে অনুষ্ঠানের আগে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কার খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহে যান সাহেদ হোসেন।

রাত ৯টার দিকে অনুষ্ঠানে সত্যিই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় কিসমত মারিয়া গ্রামের ছাদের ছেলে সাইদ, মারিয়া মৃধা পাড়া গ্রামের হাবলুর ছেলে আতিক, আদম আলীর ছেলে কুরবান আলী, মৃত লুতুর ছেলে জয়, মন্টুর ছেলে নাছিম আলী, আব্দুস ছালামের ছেলে জামিল উদ্দিনসহ ১০-১২ জন মিলে সাহেদ হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লাঠি ও বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে সাহেদ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান।

সাংবাদিক সাহেদ হোসেন বলেন, “অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কার খবর পেয়ে সেখানে গেলে আমার উপর অর্তকিত হামলা চালানো হয়। আমি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।”

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, তবে হামলাকারীদের পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ হামলার ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত দায়ীদের গ্রেপ্তার করে শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।