‘মার্চ ফর গাজা’র জন্য প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী, লাখো মানুষের ঢলের অপেক্ষায় রাজধানী
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’। আয়োজক সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ জানিয়েছে, বিকেল ৩টায় এই গণজমায়েতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক। আয়োজকদের প্রত্যাশা, সারা দেশ থেকে লাখো মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।
ইতোমধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ নির্মাণ, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন ও জেনারেটর বসানোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সমাবেশে সবার আওয়াজ ছড়িয়ে দিতে উদ্যানে বসানো হয়েছে দুই শতাধিক মাইক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই কর্মসূচি। ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম-ওলামা, সেলিব্রেটি ও সাধারণ মানুষ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জনসাধারণকে এতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই ডাক ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক, টিকটক, এক্স ও অন্যান্য মাধ্যমে।
অংশগ্রহণকারীদের জন্য ঢাকার পাঁচটি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখান থেকে দুপুর ২টায় ‘মার্চ’ শুরু হয়ে গণজমায়েতে রূপ নেবে-বাংলামোটর: রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে), কাকরাইল মোড়: ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস্য ভবন হয়ে), জিরো পয়েন্ট: টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে), বকশিবাজার মোড়: টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে), নীলক্ষেত মোড়: টি.এস.সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)।
এর আগে এই কর্মসূচি শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সমাবেশটি এখন কেবল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সীমিত থাকবে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে আর যাত্রা করা হবে না।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সব রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে এবং টিএসসি মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে, অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পানি, ছাতা, মাস্ক রাখার অনুরোধ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, দুষ্কৃতকারীদের সনাক্তে সচেতন থাকার এবং প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সমর্থন জানিয়েছে। তবে আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি একটি দলনিরপেক্ষ মানবিক প্রতিবাদ কর্মসূচি, যেখানে মূল বার্তা হলো—“গাজা বাঁচাও, মানবতা বাঁচাও”।