ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৩ এপ্রিল ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল

চেকপোস্ট প্রতিবেদক::

ভারতের বিতর্কিত ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫ বাতিল এবং দেশটিতে চলমান মুসলিম নিধনের প্রতিবাদে আগামী ২৩ এপ্রিল ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, “হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে ভারতজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখল করে সেখানে মন্দির নির্মাণসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এবার সেই দখলকে আইনি বৈধতা দিতে পাস করা হয়েছে ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫।”

তিনি আরও বলেন, “এই বিল মুসলিমদের ধর্মীয় আইন ও অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ। ভারতের মুসলমানরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। আমাদেরও উচিত সোচ্চার হওয়া।”

বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, “ভারতে মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার নির্লিপ্ত। বরং ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া তথ্য প্রচার করে আসছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সরকারের উচিত জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতীয় মুসলিমদের নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা।”

বাংলা নববর্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলা নববর্ষ একটি হিন্দু-ধর্মীয় ঐতিহ্য থেকে উৎসারিত সংস্কৃতি। পান্তা-ইলিশ খাওয়া, মঙ্গল শোভাযাত্রা—এসব ইসলামী আকীদা ও চেতনার পরিপন্থী। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের করের টাকা দিয়ে এসব উদযাপন করা অনুচিত।”

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “আজকের ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল হওয়ায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার।”

তিনি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনি বিশ্বের পরিচিত মুখ। অনুগ্রহ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে জোরালো ভূমিকা রাখুন।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আফজালুর রহমান, সাবেক এমপি মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কুরবান আলী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মুফতি শরাফত হোসাইন, এবং মিডিয়া সমন্বয়ক মাওলানা হাসান জুনাইদ প্রমুখ।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১১:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৫১৮ বার পড়া হয়েছে

২৩ এপ্রিল ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল

আপডেট সময় ১১:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের বিতর্কিত ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫ বাতিল এবং দেশটিতে চলমান মুসলিম নিধনের প্রতিবাদে আগামী ২৩ এপ্রিল ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, “হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে ভারতজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখল করে সেখানে মন্দির নির্মাণসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এবার সেই দখলকে আইনি বৈধতা দিতে পাস করা হয়েছে ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫।”

তিনি আরও বলেন, “এই বিল মুসলিমদের ধর্মীয় আইন ও অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ। ভারতের মুসলমানরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। আমাদেরও উচিত সোচ্চার হওয়া।”

বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, “ভারতে মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার নির্লিপ্ত। বরং ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া তথ্য প্রচার করে আসছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সরকারের উচিত জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতীয় মুসলিমদের নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা।”

বাংলা নববর্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলা নববর্ষ একটি হিন্দু-ধর্মীয় ঐতিহ্য থেকে উৎসারিত সংস্কৃতি। পান্তা-ইলিশ খাওয়া, মঙ্গল শোভাযাত্রা—এসব ইসলামী আকীদা ও চেতনার পরিপন্থী। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের করের টাকা দিয়ে এসব উদযাপন করা অনুচিত।”

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “আজকের ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল হওয়ায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার।”

তিনি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনি বিশ্বের পরিচিত মুখ। অনুগ্রহ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে জোরালো ভূমিকা রাখুন।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আফজালুর রহমান, সাবেক এমপি মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কুরবান আলী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মুফতি শরাফত হোসাইন, এবং মিডিয়া সমন্বয়ক মাওলানা হাসান জুনাইদ প্রমুখ।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/checkpostcom/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464