ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় চট্টগ্রামে কারামুক্ত হলেন এনামুল

মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম::

ছবি: চেকপোস্ট

চট্টগ্রামের আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক খালাস পেয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে তিনি কারাগার ত্যাগ করেন।

একই মামলায় কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও পাঁচজন। জানা গেছে, জাতীয় পার্টির নেতা পটিয়ার হাফিজুর রহমান কয়েক মাসের মধ্যেই মুক্তি পাবেন।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া লুৎফুজ্জামান বাবরের পাশাপাশি, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন আহম্মদ, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে এনএসআইয়ের সাবেক ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের সাবেক এমডি মহসিন উদ্দিন তালুকদার এবং এনএসআইর সাবেক ডিজি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে মুক্তি পান মেজর (অব.) এম লিয়াকত হোসেন।

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জনের মধ্যে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার সাজা ১৪ বছর করা হয়েছে। অপরদিকে চার আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। এই আসামিরা হলেন— এনএসআইয়ের তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ এবং পটিয়ার হাফিজুর রহমান।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্র আটক করা হয়। কর্ণফুলী থানায় এ ঘটনায় অস্ত্র আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় দেন।

বিচারিক আদালত অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এবং উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া সহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

তবে অস্ত্র আইনের মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। আপিলের পর আদালত অনেক আসামির সাজা পরিবর্তন এবং খালাসের আদেশ দেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০২:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় চট্টগ্রামে কারামুক্ত হলেন এনামুল

আপডেট সময় ০২:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক খালাস পেয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে তিনি কারাগার ত্যাগ করেন।

একই মামলায় কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও পাঁচজন। জানা গেছে, জাতীয় পার্টির নেতা পটিয়ার হাফিজুর রহমান কয়েক মাসের মধ্যেই মুক্তি পাবেন।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া লুৎফুজ্জামান বাবরের পাশাপাশি, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন আহম্মদ, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে এনএসআইয়ের সাবেক ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের সাবেক এমডি মহসিন উদ্দিন তালুকদার এবং এনএসআইর সাবেক ডিজি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে মুক্তি পান মেজর (অব.) এম লিয়াকত হোসেন।

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জনের মধ্যে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার সাজা ১৪ বছর করা হয়েছে। অপরদিকে চার আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। এই আসামিরা হলেন— এনএসআইয়ের তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ এবং পটিয়ার হাফিজুর রহমান।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্র আটক করা হয়। কর্ণফুলী থানায় এ ঘটনায় অস্ত্র আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় দেন।

বিচারিক আদালত অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এবং উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া সহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

তবে অস্ত্র আইনের মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। আপিলের পর আদালত অনেক আসামির সাজা পরিবর্তন এবং খালাসের আদেশ দেন।