ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিপুরে সেটেলমেন্ট অফিসে ভূয়া ব্যাঞ্চ কালার্ক আটক

মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে সেটেলমেন্ট অফিসে ভূয়া ব্যাঞ্চ কালার্ক কর্মচারী আটক। ভুক্তভোগীরা ইতিমধ্যে গত ২২ আগস্ট দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং বিভিন্ন দপ্তরের ঘুষ দূর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সহ স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিপুরের দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো,সেলিম তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো দেলোয়ার হোসেন মানিক ও নির্বাহী সদস্য, মো,আনোয়ার হোসেন, ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছাত্র নেতা মো,সুমন দুলাল পারভেজ , আসিফ সহ হরিপুর সেটেলমেন্ট অফিসে যায়।

সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে এজলাসে বসে ই,বি,টি, রুলস ১৯৫৫ এর ৩০ বিধির মতে আপত্তি নিষ্পত্তির শুনানির নোটিশ কাজ করছিলেন। আপত্তি নিষ্পত্তি আদালতে দাপ্তরিক গোপনীয়তা কাজ করছিলেন, এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো,সেলিমইলধ তালুকদার দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এজলাসে চেয়ার বসা ব্যক্তি মো,শরিফুল ইসলামকে প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কে এবং তিনি উত্তরে বলেন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নেই।

দূর্নীতির দমন কমিটির সভাপতি মো,শরিফুল ইসলাম কে জিজ্ঞেস করেন তিনি কে ? তিনি উত্তর দিলেন ডাটা এন্টি কর্মচারী।দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবারও জিজ্ঞেস করলেন আপনি তাহলে এজলাসে বসে কেন? তার কথাবার্তা ও পরিচয় পত্র সব অমিল এবং কোন নিয়োগ প্রাপ্ত না হওয়ায় এজলাসে বসে ই,বি, টি রুলস ১৯৫৫ এর ৩০ বিধির কাজ করছে যাহা আইনের পরিপন্থী। একজন্য তাকে ডেকে নিয়ে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, আরিফুজ্জামান নিকট হাজির করেন এবং সেখানে তিনি সকল কিছুর দোষ স্বীকার করে তার ভুল হয়েছে অভিমত ব্যক্ত করেন । এরকম গর্হিত কাজ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, আরিফুজ্জামান সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারকে মুঠোফোন বলেন,তিনি কেন, কোন সরকারি বিধিমালায় নিয়োগ না হয়েও দাপ্তরিক কাজ করছেন। তিনি কোন সঠিকভাবে দিতে পারেনি।

দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি দূর্নীতি দমন পরিচালকের পরামর্শ নিয়ে ভূয়া কর্মচারী বিরুদ্ধে থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূয়া কর্মচারী মাধ্যমে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নিজে ভূয়া ডাটা এন্টি কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে এর লক্ষ লক্ষ ঘুষ লেনদেন করতো। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করে। এই সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো,আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগী মো,শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাজারো দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগীদের দাবি এই ভূমি খেকো আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগীর শরিফুল ইসলাম এর কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:১০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
৫১৭ বার পড়া হয়েছে

হরিপুরে সেটেলমেন্ট অফিসে ভূয়া ব্যাঞ্চ কালার্ক আটক

আপডেট সময় ০৬:১০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে সেটেলমেন্ট অফিসে ভূয়া ব্যাঞ্চ কালার্ক কর্মচারী আটক। ভুক্তভোগীরা ইতিমধ্যে গত ২২ আগস্ট দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং বিভিন্ন দপ্তরের ঘুষ দূর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সহ স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিপুরের দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো,সেলিম তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো দেলোয়ার হোসেন মানিক ও নির্বাহী সদস্য, মো,আনোয়ার হোসেন, ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছাত্র নেতা মো,সুমন দুলাল পারভেজ , আসিফ সহ হরিপুর সেটেলমেন্ট অফিসে যায়।

সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে এজলাসে বসে ই,বি,টি, রুলস ১৯৫৫ এর ৩০ বিধির মতে আপত্তি নিষ্পত্তির শুনানির নোটিশ কাজ করছিলেন। আপত্তি নিষ্পত্তি আদালতে দাপ্তরিক গোপনীয়তা কাজ করছিলেন, এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো,সেলিমইলধ তালুকদার দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এজলাসে চেয়ার বসা ব্যক্তি মো,শরিফুল ইসলামকে প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কে এবং তিনি উত্তরে বলেন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নেই।

দূর্নীতির দমন কমিটির সভাপতি মো,শরিফুল ইসলাম কে জিজ্ঞেস করেন তিনি কে ? তিনি উত্তর দিলেন ডাটা এন্টি কর্মচারী।দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবারও জিজ্ঞেস করলেন আপনি তাহলে এজলাসে বসে কেন? তার কথাবার্তা ও পরিচয় পত্র সব অমিল এবং কোন নিয়োগ প্রাপ্ত না হওয়ায় এজলাসে বসে ই,বি, টি রুলস ১৯৫৫ এর ৩০ বিধির কাজ করছে যাহা আইনের পরিপন্থী। একজন্য তাকে ডেকে নিয়ে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, আরিফুজ্জামান নিকট হাজির করেন এবং সেখানে তিনি সকল কিছুর দোষ স্বীকার করে তার ভুল হয়েছে অভিমত ব্যক্ত করেন । এরকম গর্হিত কাজ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, আরিফুজ্জামান সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারকে মুঠোফোন বলেন,তিনি কেন, কোন সরকারি বিধিমালায় নিয়োগ না হয়েও দাপ্তরিক কাজ করছেন। তিনি কোন সঠিকভাবে দিতে পারেনি।

দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি দূর্নীতি দমন পরিচালকের পরামর্শ নিয়ে ভূয়া কর্মচারী বিরুদ্ধে থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূয়া কর্মচারী মাধ্যমে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নিজে ভূয়া ডাটা এন্টি কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে এর লক্ষ লক্ষ ঘুষ লেনদেন করতো। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করে। এই সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো,আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগী মো,শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাজারো দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগীদের দাবি এই ভূমি খেকো আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগীর শরিফুল ইসলাম এর কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।