ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে ক্ষোভ-অসন্তোষ, বিভিন্ন উপজেলায় ঝাড়ু মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার::

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে ঘোষিত উপজেলা ও পৌর কমিটি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ত্যাগী ও কারাবন্দি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেটভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে, এমন অভিযোগে নবীগঞ্জ, বাহুবল, শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঝাড়ু ও জুতা মিছিল হয়েছে।

অভিযোগকারীদের দাবি, প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ব্যক্তিপ্রধান ও সুবিধাভোগী একটি গোষ্ঠীর লোকজনকে বিভিন্ন পদ-পদবী দেওয়া হয়েছে। এমনকি অতীতে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীরাও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা পেয়েছেন। এতে মাঠপর্যায়ের অনেক কর্মী হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

২৪ আগস্ট (রবিবার) হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আব্বাস উদ্দিন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী ডা. আহমদুল রহমান আবদাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট মনজুর উদ্দিন আহমেদ শাহীনসহ কমিশনারদের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। তারা জানান, ঘোষিত কমিটিতে অনেক ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে অযোগ্য ও বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘোষিত কমিটি অনুযায়ী জেলার ১,৩১৩ জন ভোটার কাউন্সিলে অংশ নেবেন। এতে প্রকৃত কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, যা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

এদিকে, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ বলেন, “উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনে আমার কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। যারা দায়িত্বে আছেন, তারাই এসব কমিটি করেছেন।”

জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে নির্যাতন-জুলুম সয়ে মাঠে থাকা প্রকৃত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেটভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কমিটি দলের জন্য অবশেষে বিপর্যয় ডেকে আনবে।”

তিনি আরও সতর্ক করেন, অবিলম্বে এসব কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্ব দিতে হবে, অন্যথায় জেলায় বিভাজন ও অসন্তোষ আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
৫৬৫ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে ক্ষোভ-অসন্তোষ, বিভিন্ন উপজেলায় ঝাড়ু মিছিল

আপডেট সময় ০৫:১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে ঘোষিত উপজেলা ও পৌর কমিটি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ত্যাগী ও কারাবন্দি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেটভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে, এমন অভিযোগে নবীগঞ্জ, বাহুবল, শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঝাড়ু ও জুতা মিছিল হয়েছে।

অভিযোগকারীদের দাবি, প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ব্যক্তিপ্রধান ও সুবিধাভোগী একটি গোষ্ঠীর লোকজনকে বিভিন্ন পদ-পদবী দেওয়া হয়েছে। এমনকি অতীতে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীরাও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা পেয়েছেন। এতে মাঠপর্যায়ের অনেক কর্মী হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

২৪ আগস্ট (রবিবার) হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আব্বাস উদ্দিন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী ডা. আহমদুল রহমান আবদাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট মনজুর উদ্দিন আহমেদ শাহীনসহ কমিশনারদের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। তারা জানান, ঘোষিত কমিটিতে অনেক ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে অযোগ্য ও বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘোষিত কমিটি অনুযায়ী জেলার ১,৩১৩ জন ভোটার কাউন্সিলে অংশ নেবেন। এতে প্রকৃত কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, যা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

এদিকে, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ বলেন, “উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনে আমার কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। যারা দায়িত্বে আছেন, তারাই এসব কমিটি করেছেন।”

জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে নির্যাতন-জুলুম সয়ে মাঠে থাকা প্রকৃত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেটভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কমিটি দলের জন্য অবশেষে বিপর্যয় ডেকে আনবে।”

তিনি আরও সতর্ক করেন, অবিলম্বে এসব কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্ব দিতে হবে, অন্যথায় জেলায় বিভাজন ও অসন্তোষ আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।