ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি দখলে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন ও তার ভাতিজারা

স্টাফ রিপোর্টার::

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাদৈ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন ও তার ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বলছেন, পূর্বে ভূমিহীন হিসেবে ০.৪ শতক জমি বরাদ্দ পাওয়ার পর ইসমাইল হোসেন সরকারী পুকুর পাড় দখল করে বিশাল ভবন নির্মাণ করেন। বর্তমানে তিনি ও তার ভাতিজারা নদীর পাড়ের জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করে তা ভাড়াও দিচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টুক ভাদৈ এলাকায় খোয়াই নদীর পাড় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে অবৈধ দখল চালিয়ে ঘর নির্মাণ করেছেন তার ভাতিজা তাহির মিয়া। এসব ঘর ভাড়া দিয়ে মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়া ‘মুজিব নগর’ পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের জন্য নির্মিত একটি সরকারি ঘর এবং জমি দখল করে তা তুলে দেওয়া হয়েছে আরেক ভাতিজা সৌদি প্রবাসী খোকন মিয়াকে। অথচ প্রকৃত গৃহহীনরা এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকার পরিবর্তনের পরও ফ্যাসিস্ট শাসন আর দখলদারিত্ব বন্ধ হয়নি। এখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাবশালীরা গরিবদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ইসমাইল হোসেন ও তার ভাতিজাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত করে দখলকৃত সরকারি জমি ও ঘর উদ্ধার করতে হবে। একইসঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৭:৩২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
৫৮৯ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি দখলে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন ও তার ভাতিজারা

আপডেট সময় ০৭:৩২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাদৈ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন ও তার ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বলছেন, পূর্বে ভূমিহীন হিসেবে ০.৪ শতক জমি বরাদ্দ পাওয়ার পর ইসমাইল হোসেন সরকারী পুকুর পাড় দখল করে বিশাল ভবন নির্মাণ করেন। বর্তমানে তিনি ও তার ভাতিজারা নদীর পাড়ের জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করে তা ভাড়াও দিচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টুক ভাদৈ এলাকায় খোয়াই নদীর পাড় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে অবৈধ দখল চালিয়ে ঘর নির্মাণ করেছেন তার ভাতিজা তাহির মিয়া। এসব ঘর ভাড়া দিয়ে মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়া ‘মুজিব নগর’ পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের জন্য নির্মিত একটি সরকারি ঘর এবং জমি দখল করে তা তুলে দেওয়া হয়েছে আরেক ভাতিজা সৌদি প্রবাসী খোকন মিয়াকে। অথচ প্রকৃত গৃহহীনরা এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকার পরিবর্তনের পরও ফ্যাসিস্ট শাসন আর দখলদারিত্ব বন্ধ হয়নি। এখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাবশালীরা গরিবদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ইসমাইল হোসেন ও তার ভাতিজাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত করে দখলকৃত সরকারি জমি ও ঘর উদ্ধার করতে হবে। একইসঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।