হবিগঞ্জে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ ও অবরোধ
ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা না পেলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সকল সরকারি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হবিগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ বিকেল ২টায় সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মাহদি হাসান এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির করে দেওয়া হবে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম এসে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন যে, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের এই আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
বিক্ষোভের কারণে সকাল থেকে গোটা শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ে। সকাল থেকেই কোর্ট মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে প্রধান সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কের উভয় পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে, যা সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জ জেলায় সর্বোচ্চ ১৬ জন শহীদের আত্মাহুতি দেওয়া সত্ত্বেও কোনো উপদেষ্টা এখনো শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি। বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনে এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা সক্রিয় রয়েছে, যা দ্রুত অপসারণ করা দরকার। তারা অবিলম্বে ছাত্র-জনতা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে, আন্দোলনের কারণে শহরে যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দিলে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয় হয়। বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগে।
হবিগঞ্জে চলমান এই আন্দোলন প্রশাসনকে চাপে ফেলেছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।