হবিগঞ্জে আবারও চার সাংবাদিকসহ ৪৮জনের নামে মামলা, তদন্তে পিবিআই
চারদিনের ব্যবধানে হবিগঞ্জের মাধবপুরে আবারও চার সাংবাদিকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হট্টগোলে ভাঙচুর ও মারামারি কথা বলা হয়েছে। মামলায় চার সাংবাদিক ছাড়াও আওয়ামীলীগের ৪৪ জন নেতাসহ ১৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। গতকাল ২৩শে সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামের ইকবাল চৌধুরীর ছেলে গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী। আদালত মামলটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জকে নির্দেশ দেন।
দায়ের করা মামলায় চার সাংবাদিক হলেন, মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক খোলা কাগজের মাধবপুর প্রতিনিধি সাব্বির হাসান, দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি আইয়ুব খান, দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি শংকর পাল চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের উপজেলা সভাপতি ও দৈনিক মর্নিং পোস্টের জেলা প্রতিনিধি মোঃ শামীম মিয়া।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ১৯শে জুলাই (শুক্রবার) বাদ জুমার পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দরগা গেইট এলাকায় মিছিল ও বিক্ষোভ করার সময় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। এসময় তাদের ছোঁড়া গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
ঘটনার দুইমাস পর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিককে প্রধান আসামী করে ৪৮জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এরআগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাধবপুর থানায় সাবেক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মোঃ মাহবুব আলীকে প্রধান আসামী করে ৪৬ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আমিনুর রহমান। এ মামলায় ৫জন সাংবাদিককে আসামী করা হয়।
একেরপর এক মামলায় সাংবাদিকদের আসামী করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের মাধবপুর উপজেলা সভাপতি মোঃ শামীম মিয়া বলেন, উদ্দেশ্য প্রনোদীতভাবে এবং স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের জন্য সাংবাদিকদের এসব মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করেতে গিয়ে এসব মামলার শিকার হচ্ছেন।