ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি কর্তৃপক্ষের ঘোষণা মেনে জামালপুরে ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপন

জাকিরুল ইসলাম বাবু, জামালপুর::

ছবি: চেকপোস্ট

সৌদি আরবে হিজরি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় দেশটিতে শনিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। সৌদি সুপ্রিম কোর্টের এই ঘোষণা অনুসরণ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়ও ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ১৩টি গ্রামে রোববার ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে।

ঈদের নামাজে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন। পৌরসভার বলারদিয়ার মাস্টার বাড়ী জামে মসজিদ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বলারদিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করেন।

উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুটিয়ারপাড় ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এই নামাজে অংশ নেন। নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থাও রাখা হয়।

বলারদিয়ার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার জানান, “সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আমরা রমজানের রোজা শুরু করি, তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করি। সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা হলেও আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চন্দ্র উদয়ের একদিন পর ঈদ পালন করি। তাই আমাদের রোজাও একদিন আগে শুরু হয় এবং ঈদও একদিন আগে উদযাপন করা হয়।”

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. চাঁদ মিয়া বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় একদিন আগেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০১:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
৫২৭ বার পড়া হয়েছে

সৌদি কর্তৃপক্ষের ঘোষণা মেনে জামালপুরে ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপন

আপডেট সময় ০১:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

সৌদি আরবে হিজরি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় দেশটিতে শনিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। সৌদি সুপ্রিম কোর্টের এই ঘোষণা অনুসরণ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়ও ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ১৩টি গ্রামে রোববার ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে।

ঈদের নামাজে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন। পৌরসভার বলারদিয়ার মাস্টার বাড়ী জামে মসজিদ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বলারদিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করেন।

উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুটিয়ারপাড় ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এই নামাজে অংশ নেন। নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থাও রাখা হয়।

বলারদিয়ার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার জানান, “সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আমরা রমজানের রোজা শুরু করি, তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করি। সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা হলেও আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চন্দ্র উদয়ের একদিন পর ঈদ পালন করি। তাই আমাদের রোজাও একদিন আগে শুরু হয় এবং ঈদও একদিন আগে উদযাপন করা হয়।”

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. চাঁদ মিয়া বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় একদিন আগেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।”