মোংলায় বন দিবসে বক্তারা-
সুন্দরবন রক্ষায় দূষণরোধ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন করতে হবে
সুন্দরবন রক্ষায় দূষণরোধ এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন করার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেছেন, সুন্দরবনের নদী খালে বিষ দূষণকারী ও হরিণ শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা অভিযোগ করেন, ভূমি দস্যুদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে সুন্দরবনের আয়তন ক্রমেই ছোট হয়ে যাচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা দূষণও পশুর নদ এবং সুন্দরবনকে আক্রান্ত করছে। বক্তারা আরও বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা এবং বনবিনাশী প্রকল্প বন্ধ না করলে সুন্দরবনের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
২১ মার্চ শুক্রবার আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে মোংলা সরকারি কলেজের ম্যানগ্রোভ বনে সুন্দরবন রক্ষায় বিষ দিয়ে মাছ নিধন, হরিণ শিকার এবং বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ করতে এবং বনবিনাশী প্রকল্প বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এই কর্মসূচি “ধরা রক্ষায় আমরা”, “সুন্দরবন রক্ষায় আমরা”, “পশুর রিভার ওয়াটারকিপার” এবং “সার্ভিস বাংলাদেশ” এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে, তবে সুন্দরবনকে রক্ষা করবে কে?” তিনি আরও জানান, গরমের দিনে কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সুন্দরবনে আগুন লাগিয়ে থাকে, যা বনকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
পরিবেশকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, “কয়লা, বিষ এবং প্লাস্টিক দূষণে সুন্দরবনে জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে,” এবং আন্তর্জাতিক বন দিবসে সুন্দরবন রক্ষায় শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ধরা’র নেত্রী কমলা সরকার বলেন, “বনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার পাশাপাশি সুন্দরবনের বাপারজোন এলাকায় বেপরোয়া শিল্পায়ন রুখতে না পারলে সুন্দরবন রক্ষা করা যাবেনা।”
এদিন আরও বক্তব্য রাখেন, ছবি হাজরা, ইদ্রিস ইমন, হাছিব সরদার, নাজমুল হোসেন, ডলার মোল্লা, মেহেদী হাসান, মারুফ হাওলাদার প্রমুখ।