ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে জ্বালানি রূপান্তর ক্যাম্পেইনে বক্তারা সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির যন্ত্রাংশ ট্যাক্স ফ্রি করার দাবি

হারুন শেখ, বাগেরহাট প্রতিনিধি::

জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমানো এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস এবং যন্ত্রাংশে করমুক্ত সুবিধা প্রদান, নবায়নযোগ্য জ্বালানির খাতে প্রণোদনা, এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ খাতে উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি তহবিলের স্বচ্ছ ও কার্যকর ব্যবহারের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এই লক্ষ্যে, “১৪ দফা ১৪ দিন, ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর আন্দোলনে যোগ দিন” শ্লোগানে দেশব্যাপী প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৪ নভেম্বর, সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বনজীবীদের অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জেটনেট বিডি), অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এবং মোংলা নাগরিক সমাজের যৌথ প্রচেষ্টায়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বনজীবীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচির সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও পরিবেশ যোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন নাগরিক নেতা ও সার্ভিস বাংলাদেশ-এর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের টীম লিডার ইস্রাফিল বয়াতি, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী ইদ্রিস ইমন, মোংলা নাগরিক সমাজের শেখ রাসেল, নারী বনজীবী মিরা মন্ডল ও শারমিন বেগম, এবং জেলে সমিতির বেল্লাল ব্যাপারী ও তপন মন্ডল।

বক্তারা বলেন, বর্তমান জ্বালানি চাহিদার প্রধান অংশ জীবাশ্ম জ্বালানি পূরণ করছে, যা সুন্দরবনের মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে দ্রুত হ্রাস করছে এবং পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। বক্তারা সুন্দরবন বিনাশী রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবি জানান।

সমাবেশে প্রধান অতিথি মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, নাগরিক সমাজ সম্মিলিত কণ্ঠে এমন এক পরিবর্তনের দাবি জানায় যেখানে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তর ঘটবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দূষণমুক্ত বাতাসে জীবনযাপন করতে পারবে, ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হবে, পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে এবং একই সঙ্গে অর্থনীতি টেকসই ও সমৃদ্ধ হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১১:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

সুন্দরবনে জ্বালানি রূপান্তর ক্যাম্পেইনে বক্তারা সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির যন্ত্রাংশ ট্যাক্স ফ্রি করার দাবি

আপডেট সময় ১১:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমানো এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস এবং যন্ত্রাংশে করমুক্ত সুবিধা প্রদান, নবায়নযোগ্য জ্বালানির খাতে প্রণোদনা, এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ খাতে উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি তহবিলের স্বচ্ছ ও কার্যকর ব্যবহারের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এই লক্ষ্যে, “১৪ দফা ১৪ দিন, ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর আন্দোলনে যোগ দিন” শ্লোগানে দেশব্যাপী প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৪ নভেম্বর, সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বনজীবীদের অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জেটনেট বিডি), অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এবং মোংলা নাগরিক সমাজের যৌথ প্রচেষ্টায়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বনজীবীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচির সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও পরিবেশ যোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন নাগরিক নেতা ও সার্ভিস বাংলাদেশ-এর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের টীম লিডার ইস্রাফিল বয়াতি, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী ইদ্রিস ইমন, মোংলা নাগরিক সমাজের শেখ রাসেল, নারী বনজীবী মিরা মন্ডল ও শারমিন বেগম, এবং জেলে সমিতির বেল্লাল ব্যাপারী ও তপন মন্ডল।

বক্তারা বলেন, বর্তমান জ্বালানি চাহিদার প্রধান অংশ জীবাশ্ম জ্বালানি পূরণ করছে, যা সুন্দরবনের মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে দ্রুত হ্রাস করছে এবং পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। বক্তারা সুন্দরবন বিনাশী রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবি জানান।

সমাবেশে প্রধান অতিথি মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, নাগরিক সমাজ সম্মিলিত কণ্ঠে এমন এক পরিবর্তনের দাবি জানায় যেখানে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তর ঘটবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দূষণমুক্ত বাতাসে জীবনযাপন করতে পারবে, ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হবে, পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে এবং একই সঙ্গে অর্থনীতি টেকসই ও সমৃদ্ধ হবে।