সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বৌলাই নদীতে একটি যাত্রীবাহি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ডুবিতে তিনজন শিশু ও দুইজন নারীসহ ৫ জন মারা গেছেন।

নিহতরা হলেন, বিউটি চক্রবর্তী (৪০), তিনি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের তাপন চক্রবর্তীর স্ত্রী। কল্পনা রানী সরকার (৫০), তিনি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার হাতনি গ্রামের নিরদ সরকারের স্ত্রী। হাতনি গ্রামের শিশু জয়িতা সরকার (৬), সে হাতনি গ্রামের নিরেন সরকারের মেয়ে। শিশু গঙ্গাঁ রানী সরকার (৮), সে নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সুজিত সরকারের মেয়ে। অপর এক নিহত শিশু বাচ্চার নাম ও পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে আহত শিশু সৌরভ সরকার (৬) কে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের মদনাকান্দি ও হেরারকান্দির মধ্যবর্তী বৌলাই নদীতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার মধ্যনগর উপজেলা থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ৭০ জন যাত্রী এবং প্রচুর মালামাল নিয়ে জামালগঞ্জে আসছিল। পথে বৌলাই নদীতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেক যাত্রী সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ৫ জন যাত্রী নিহত এবং ১ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা সবাই নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। খবর পেয়ে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে বেহেলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেবাশীষ মেম্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতের কারণে নৌকাডুবিতে কতজন নিহত হয়েছেন পুরোপুরি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আপাতত ৫ জন নিহতের তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম নৌকাডুবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছি। পরবর্তীতে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।