ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে প্রেমঘটিত ঘটনায় হামলা-লুটপাট, মামলা হলেও আসামি ধরতে পারেনি পুলিশ

মোশফিকুর রহমান স্বপন, সুনামগঞ্জ::

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রেমঘটিত ঘটনায় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলার চকিয়াচাপুর গ্রামের আইজল মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৯ জুন রাতে তারা পালিয়ে যায়। পরে ২৩ জুন মেয়েটির বাবা মোবারকসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্মপাশা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ দুই মাস পর গত ২৫ আগস্ট পুলিশ উপজেলা সদরের বিজয় চত্বর থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত মোবারককে কারাগারে প্রেরণ এবং মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য পাঠান। পরীক্ষা শেষে ২৭ আগস্ট মেয়েটিকে আদালত পরিবারের জিম্মায় দেন।

কিন্তু আদালত থেকে বের হওয়ার পর মেয়েটি বাবার সঙ্গে বাড়ি না গিয়ে ছেলেপক্ষের একজনের হাত ধরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মেয়েটির পরিবার একে আবারও অপহরণের নাটক বলে প্রচার চালায়।

পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়ের পরিবার ওইদিন বিকেলে মোবারক হোসেনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মোবারকের চাচা গত ২৮ আগস্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী পরিবার ছামিরা বেগম অভিযোগ করেন, “ওইদিন বিকেলে তারা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। আমাদের মারধর করে এবং গোয়াল ঘরে রাখা ৬টি গরু নিয়ে যায়। এমনকি আমার গলার স্বর্ণের চেইনও ছিনিয়ে নেয়।”

অভিযুক্ত পরিবারের সদস্য মোসাদ্দেক আকন্দ ও করিমা বেগম অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “এধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, “মামলা দায়েরের পর এজহারভুক্ত আসামিদের খোলা ঘোরাঘুরি করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা ইতোমধ্যে থানাকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছি।”

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১০:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৭১৩ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জে প্রেমঘটিত ঘটনায় হামলা-লুটপাট, মামলা হলেও আসামি ধরতে পারেনি পুলিশ

আপডেট সময় ১০:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রেমঘটিত ঘটনায় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলার চকিয়াচাপুর গ্রামের আইজল মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৯ জুন রাতে তারা পালিয়ে যায়। পরে ২৩ জুন মেয়েটির বাবা মোবারকসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্মপাশা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ দুই মাস পর গত ২৫ আগস্ট পুলিশ উপজেলা সদরের বিজয় চত্বর থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত মোবারককে কারাগারে প্রেরণ এবং মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য পাঠান। পরীক্ষা শেষে ২৭ আগস্ট মেয়েটিকে আদালত পরিবারের জিম্মায় দেন।

কিন্তু আদালত থেকে বের হওয়ার পর মেয়েটি বাবার সঙ্গে বাড়ি না গিয়ে ছেলেপক্ষের একজনের হাত ধরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মেয়েটির পরিবার একে আবারও অপহরণের নাটক বলে প্রচার চালায়।

পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়ের পরিবার ওইদিন বিকেলে মোবারক হোসেনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মোবারকের চাচা গত ২৮ আগস্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী পরিবার ছামিরা বেগম অভিযোগ করেন, “ওইদিন বিকেলে তারা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। আমাদের মারধর করে এবং গোয়াল ঘরে রাখা ৬টি গরু নিয়ে যায়। এমনকি আমার গলার স্বর্ণের চেইনও ছিনিয়ে নেয়।”

অভিযুক্ত পরিবারের সদস্য মোসাদ্দেক আকন্দ ও করিমা বেগম অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “এধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, “মামলা দায়েরের পর এজহারভুক্ত আসামিদের খোলা ঘোরাঘুরি করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা ইতোমধ্যে থানাকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছি।”