ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তায় মিলল মা-মেয়ে ও শিশুর ৩ মরদেহ

চেকপোস্ট প্রতিবেদক::

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক নারী, তার বোন ও শিশুর তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বড় বাড়ির পাশে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন—স্বপ্না খাতুন (২৫), লামিয়া খাতুন (২২) এবং দুই বছরের শিশু হাবিব। নিহত স্বপ্না ও লামিয়া সম্পর্কে বোন, এবং শিশু হাবিব লামিয়ার সন্তান। জানা গেছে, স্বপ্না পেশায় গার্মেন্টস কর্মী এবং ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিহত লামিয়ার স্বামী মো. ইয়াসিন মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। তিনি কোনো কাজ করতেন না এবং স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। প্রাথমিকভাবে লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, তবে পুলিশ এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, “আমরা ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”

ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও জড়িতদের শনাক্তে কাজ শুরু করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
৫২৩ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তায় মিলল মা-মেয়ে ও শিশুর ৩ মরদেহ

আপডেট সময় ০৬:০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক নারী, তার বোন ও শিশুর তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বড় বাড়ির পাশে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন—স্বপ্না খাতুন (২৫), লামিয়া খাতুন (২২) এবং দুই বছরের শিশু হাবিব। নিহত স্বপ্না ও লামিয়া সম্পর্কে বোন, এবং শিশু হাবিব লামিয়ার সন্তান। জানা গেছে, স্বপ্না পেশায় গার্মেন্টস কর্মী এবং ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিহত লামিয়ার স্বামী মো. ইয়াসিন মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। তিনি কোনো কাজ করতেন না এবং স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। প্রাথমিকভাবে লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, তবে পুলিশ এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, “আমরা ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”

ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও জড়িতদের শনাক্তে কাজ শুরু করেছে।