সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের “জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য” প্রকল্পের জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে জলবায়ু ঝুঁকি বেশি, সেখানকার সাধারণ মানুষ এই প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে সচেতন হওয়া জরুরি।
ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচীর আওতায় “জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য” প্রকল্পের অংশ হিসেবে বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সোনারগাঁ কমিউনিটি সেন্টারে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে স্থানীয় জনগণকে অবহিত করা এবং জলবায়ু সংবেদনশীল রোগ যেমন ডায়রিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরহাদ জামিল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শোয়াইব আহমাদ, সাতক্ষীরা সদর ফায়ার স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ নুরুল ইসলাম, ব্র্যাক হেলথের জেলা ব্যবস্থাপক সোহেল রানা, টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম অফিসার আলমা হাবিবা, ব্র্যাকের সিসিএইচ প্রকল্প ম্যানেজার সাদিয়া সুলতানা, কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার আসমা আক্তার, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের মেম্বার ও চেয়ারম্যান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী, স্কুল শিক্ষক, আনসার ভিডিপি, মিডিয়া ও প্রিন্টমিডিয়ার সাংবাদিক প্রমুখ।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরহাদ জামিল বলেন, “ডেঙ্গু মশার প্রকৃতি পাল্টে গেছে। আগে সারাদিন কামড় দিলেও তেমন প্রভাব থাকতো না, এখন এক কামড়েই শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে পারে।” তিনি আরও জানান, প্রতি বছর যক্ষ্মায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর ও দীর্ঘস্থায়ী কাশি। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
ব্র্যাক হেলথের জেলা ব্যবস্থাপক সোহেল রানা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক সংকট হলেও এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে দরিদ্র ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ওপর। স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।” তিনি ভেক্টর ও তাদের মাধ্যমে ছড়ানো রোগ যেমন ডায়রিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, চর্মরোগ ইত্যাদি সম্পর্কে উপস্থিতিদের সচেতন করেন।
সাতক্ষীরা সদর ফায়ার স্টেশনের ইন্সপেক্টর মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রকৃতিকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত তথ্য প্রদান করতে হবে, যাতে আমরা ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারি। আমরা ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত অবস্থায় থাকি।”