ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবজির দামে সেঞ্চুরির প্রতিযোগিতা

স্টাফ রিপোর্টার::

সবজির দাম এখন বেশ চড়া। ১০০ টাকা কেজির নিচে বেগুন কেনা যাচ্ছে না। টমেটো ২০০ টাকা কেজি এবং পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। লাগামহীন এই নিত্যপণ্যের বাজারে হাঁপিয়ে উঠেছে ভোক্তারা।

বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষেতের সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে সবজির দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বাড্ডা, হাতিরপুল ও জোয়ারসাহারার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ১০০ টাকার নিচে ভালো মানের কোনো বেগুন বিক্রি হচ্ছে না। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে মানভেদে বেগুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।

মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে টমেটো কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরচিরে দাম মাঝে ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় নেমে এলেও সরবরাহ সংকট দেখিয়ে এখন ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

বরবটির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। পটোল, চিচিঙ্গা ও ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতিটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাড্ডা কাঁচাবাজারে আসা গৃহিণী ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘বাজারে এখন এক কেজি গোল বেগুনের দাম চায় ১৪০ টাকা। মাত্র কয়েক দিন আগেও এই সবজি ৮০ টাকা কেজিতে নিয়েছি।

’ তিনি বলেন, ‘যে হারে সবজির দাম বাড়ছে, আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের টিকে থাকা দায়।’

জোয়ারসাহারা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে সবজি ও কাঁচা মরিচের ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণেও নষ্ট হয়েছে সবজি। এতে বাজারে সরবরাহ কমে সবজির দাম বেড়েছে।’

আবুল কাশেম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘১০০ টাকার নিচে ভালো কোনো সবজি পাওয়া যায় না। বন্যার অজুহাতে হঠাৎ করে দাম বাড়ছে সবজির। তবে ভোক্তা অধিকার বা সরকারি কোনো সংস্থার কোনো অভিযান নেই। ব্যবসায়ী এবং দোকানিরা মিলে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে।’

বাজারে পেঁয়াজ ও সবজির দাম বাড়লেও কমেছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। মুরগির দাম একই আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি ও আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২০০ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০ টাকা এবং আমদানি করা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:০০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
৫১০ বার পড়া হয়েছে

সবজির দামে সেঞ্চুরির প্রতিযোগিতা

আপডেট সময় ০৫:০০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

সবজির দাম এখন বেশ চড়া। ১০০ টাকা কেজির নিচে বেগুন কেনা যাচ্ছে না। টমেটো ২০০ টাকা কেজি এবং পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। লাগামহীন এই নিত্যপণ্যের বাজারে হাঁপিয়ে উঠেছে ভোক্তারা।

বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষেতের সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে সবজির দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বাড্ডা, হাতিরপুল ও জোয়ারসাহারার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ১০০ টাকার নিচে ভালো মানের কোনো বেগুন বিক্রি হচ্ছে না। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে মানভেদে বেগুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।

মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে টমেটো কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরচিরে দাম মাঝে ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় নেমে এলেও সরবরাহ সংকট দেখিয়ে এখন ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

বরবটির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। পটোল, চিচিঙ্গা ও ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতিটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাড্ডা কাঁচাবাজারে আসা গৃহিণী ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘বাজারে এখন এক কেজি গোল বেগুনের দাম চায় ১৪০ টাকা। মাত্র কয়েক দিন আগেও এই সবজি ৮০ টাকা কেজিতে নিয়েছি।

’ তিনি বলেন, ‘যে হারে সবজির দাম বাড়ছে, আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের টিকে থাকা দায়।’

জোয়ারসাহারা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে সবজি ও কাঁচা মরিচের ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণেও নষ্ট হয়েছে সবজি। এতে বাজারে সরবরাহ কমে সবজির দাম বেড়েছে।’

আবুল কাশেম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘১০০ টাকার নিচে ভালো কোনো সবজি পাওয়া যায় না। বন্যার অজুহাতে হঠাৎ করে দাম বাড়ছে সবজির। তবে ভোক্তা অধিকার বা সরকারি কোনো সংস্থার কোনো অভিযান নেই। ব্যবসায়ী এবং দোকানিরা মিলে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে।’

বাজারে পেঁয়াজ ও সবজির দাম বাড়লেও কমেছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। মুরগির দাম একই আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি ও আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২০০ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০ টাকা এবং আমদানি করা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।