সঞ্চয়কৃত টাকা কাজে লাগিয়ে সরকারের উদ্যোগ সফল করতে হবে: সুনামগঞ্জে ইউএনও সুলতানা জেরিন
সঞ্চয়কৃত টাকা শুধুমাত্র হাতে রাখলে হবে না, এটিকে কাজে লাগাতে হবে উৎপাদনমুখী কাজে—তবেই সরকারের এই উদ্যোগ সফল হবে। এমন মন্তব্য করেছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা জেরিন।
তিনি বলেন, “আপনারা কেউ সঞ্চিত টাকা দিয়ে গরু-ছাগল বা হাঁস-মুরগি পালন করতে পারেন। কেউ সেলাই মেশিন কিনে কাজ করতে পারেন, জমিজমা কিনতে পারেন কিংবা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আয়ের উৎস গড়ে তুললে পরিবারের খরচও সহজে চলবে।”
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা মিলনায়তনে সদর উপজেলা এলজিইডির আয়োজনে সঞ্চিত অর্থের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদিত্য পাল, উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী সুব্রত দাস প্রমুখ।
এবারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় নিয়োজিত ৩ জন সুপারভাইজার ও ৪০ জন এলসিএস কর্মীর মাঝে সঞ্চয়ের অর্থ বিতরণ করা হয়।cপ্রত্যেক সুপারভাইজার পান ৫৪ হাজার টাকা, প্রত্যেক কর্মী পান ৪৩ হাজার টাকা, মোট ৪৩ জনকে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ টাকা সঞ্চয় প্রদান করা হয়।
প্রকল্পের চুক্তি শুরু হয় ১ জুলাই ২০২৪ থেকে এবং শেষ হবে ৩০ জুন ২০২৫। এ সময় সুপারভাইজারদের দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭৫ টাকা, যেখানে সঞ্চয়ের পরিমাণ প্রতিদিন ২২৫ টাকা। অন্যদিকে কর্মীদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা, সঞ্চয়ের অংশ প্রতিদিন ১৮০ টাকা।
এই প্রকল্পের অর্থায়নে সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়ক মেরামত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, মঙ্গলকাটা জিসি-লাখাইপুরবইউপিসি ভায়া হাসাউড়া সড়ক, সুরমা ইউপিসি-ডলুরা বালাট বর্ডার হাট সড়ক, সুনামগঞ্জ-মঙ্গলকাটা সড়ক, সুনামগঞ্জ-বীটগঞ্জ সড়ক, বীটগঞ্জ-রামপুর ভায়া খাগুরা সড়ক।
এলসিএস কর্মীদের সঞ্চয় বিতরণ শেষে অতিথিরা সবাইকে সঞ্চিত অর্থ সঠিক খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।