ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৬

মাগুরা প্রতিনিধি::

মাগুরার শ্রীপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের নলখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ৬ জন মারাত্মক আহত হয়। আহতরা বর্তমানে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শনিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নলখোলা গ্রামের রুস্তম খান, মুক্তার শেখ ও আজমল খানের মধ্যে প্রায় ২০ বছর ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।এ কারণে গ্রাম্য শালিসে আদালতের চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের ওই জমিতে কোন কাজ না করার জন্য বলা হয়৷ কিন্তু কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে মুক্তার শেখ ওই জমিতে জোরপূর্বক জবরদখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে। কয়েকদিন আগে জোরপূর্বক সে ওই জমিতে কলাগাছ লাগান। শুক্রবার বিকেলে রুস্তম খান ওই কলাগাছ তুলতে গেলে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের ফারুক শেখ (৩৮), কামিরুল ইসলাম (৫০), মুক্তার শেখ (৫০), সুমন শেখ (২৮), পান্নু শেখ (৪৫), ও মানিক শেখ (৫৫) মারাত্মক আহত হয়।

এ বিষয়ে রুস্তম খান বলেন, এ জমি আমার কেনা। দলিলও আমার নামে। কিন্তু মুক্তার শেখ রেকর্ডও সম্পত্তি হিসেবে এ জমি তাদের বলে দাবি করে। যতবারই কোর্টের রায় হয়েছে ততবারই ওই জমি আমি পেয়েছি। কিন্তু তারা এই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। জোরপূর্বক কলাগাছ লাগিয়েছে। আমরা বাঁধা দেওয়ায় মুক্তার, সুৃমন, পান্নু, মানিক, সজল ও জোয়ার্দার পাড়ার লোকজনসহ আমাদের উপর অতর্কিত মারধর শুরু করে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে মুক্তার শেখ বলেন, জমি আমাদের তাই আমরা সেখানে কলাগাছ লাগিয়েছি। তারা আমাদের লাগানো কলাগাছ তুলে দিয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে আজমল হোসেন বলেন, জাফর শেখের কাছ থেকে আমি ২ শতক জমি কিনেছি। দলিল ও আমার নামে। আমি নৌবাহিনীর চাকরির সুবাদে বাইরে থাকি। তারা আমাকে ওই জমিতে যেতেই দেয় না।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, মারামারির সংবাদ শোনার পর পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেয়নি৷ অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:৪৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
৫১৪ বার পড়া হয়েছে

শ্রীপুরে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৬

আপডেট সময় ০৫:৪৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

মাগুরার শ্রীপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের নলখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ৬ জন মারাত্মক আহত হয়। আহতরা বর্তমানে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শনিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নলখোলা গ্রামের রুস্তম খান, মুক্তার শেখ ও আজমল খানের মধ্যে প্রায় ২০ বছর ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।এ কারণে গ্রাম্য শালিসে আদালতের চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের ওই জমিতে কোন কাজ না করার জন্য বলা হয়৷ কিন্তু কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে মুক্তার শেখ ওই জমিতে জোরপূর্বক জবরদখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে। কয়েকদিন আগে জোরপূর্বক সে ওই জমিতে কলাগাছ লাগান। শুক্রবার বিকেলে রুস্তম খান ওই কলাগাছ তুলতে গেলে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের ফারুক শেখ (৩৮), কামিরুল ইসলাম (৫০), মুক্তার শেখ (৫০), সুমন শেখ (২৮), পান্নু শেখ (৪৫), ও মানিক শেখ (৫৫) মারাত্মক আহত হয়।

এ বিষয়ে রুস্তম খান বলেন, এ জমি আমার কেনা। দলিলও আমার নামে। কিন্তু মুক্তার শেখ রেকর্ডও সম্পত্তি হিসেবে এ জমি তাদের বলে দাবি করে। যতবারই কোর্টের রায় হয়েছে ততবারই ওই জমি আমি পেয়েছি। কিন্তু তারা এই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। জোরপূর্বক কলাগাছ লাগিয়েছে। আমরা বাঁধা দেওয়ায় মুক্তার, সুৃমন, পান্নু, মানিক, সজল ও জোয়ার্দার পাড়ার লোকজনসহ আমাদের উপর অতর্কিত মারধর শুরু করে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে মুক্তার শেখ বলেন, জমি আমাদের তাই আমরা সেখানে কলাগাছ লাগিয়েছি। তারা আমাদের লাগানো কলাগাছ তুলে দিয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে আজমল হোসেন বলেন, জাফর শেখের কাছ থেকে আমি ২ শতক জমি কিনেছি। দলিল ও আমার নামে। আমি নৌবাহিনীর চাকরির সুবাদে বাইরে থাকি। তারা আমাকে ওই জমিতে যেতেই দেয় না।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, মারামারির সংবাদ শোনার পর পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেয়নি৷ অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।