শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার দাবিতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাত কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
রোববার (৫ মে) দুপুরে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জানান, পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কুয়েটের শিক্ষকরা সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।
এর আগে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হযরত আলী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এদিকে বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছনার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চান এবং উপাচার্যের মাধ্যমে শিক্ষক সমিতির কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের’ দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘ অচলাবস্থার পর ২৫ এপ্রিল উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এরপরও শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেননি। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরে যাবেন না।